E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরনদীতে খাদ্য কর্মকর্তা ও ওসিএলএসডির যোগসাজশে এমপির কোটার ৮ মেট্টিক টন চাল আত্মসাৎ

২০১৮ আগস্ট ০৮ ১৭:৫৯:০৪
গৌরনদীতে খাদ্য কর্মকর্তা ও ওসিএলএসডির যোগসাজশে এমপির কোটার ৮ মেট্টিক টন চাল আত্মসাৎ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : গৌরনদী উপজেলায় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র কোটার বিশেষ কাবিখা প্রকল্পের আট মেট্রিক টন চাল খাদ্য কর্মকর্তা ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রকল্প সভাপতির স্বাক্ষর জাঁলিয়াতি করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি চাল আত্মসাতের ঘটনায় সত্যতা পেয়েছেন। ফলে দূর্নিতীবাজ ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানাগেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার বিশেষ কর্মসূচি (সংসদ সদস্যের কোটার) আওতায় মধ্য বেজহার কালী মন্দির থেকে মামুন মোল্লার বাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা মেরামতের জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মো. মামুন মোল্লাকে প্রকল্পের সভাপতি করে আট মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকল্প সভাপতি মামুন মোল্লার অনুকূলে চাল উত্তোলনের জন্য পৃথক ভাবে তিনটি বরাদ্দ পত্র দেয়া হয়। গৌরনদী উপজেলার তৎকালীন খাদ্য কর্মকর্তা বিএম শফিকুল ইসলাম বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা সদরে কর্মরত ও তৎকালীন ওসিএলএসডি শেখ আব্দুস সালাম বর্তমানে রংপুর এরিয়ায় কর্মরত তার (মামুন মোল্লা) স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আট মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

মামুন মোল্লা আরও জানান, চাল আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পেরে গত ২০১৭ সালে ৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা গত ১১ ডিসেম্বর অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রেরন করেন।

চলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। ওই তিন কর্মকর্তার দীর্ঘ অনুসন্ধানে তৎকালীন খাদ্য কর্মকর্তা বিএম শফিকুল ইসলাম ও তৎকালীন ওসিএলএসডি শেখ আব্দুস সালাম প্রকল্প সভাপতি মামুন মোল্লার স্বাক্ষর জাল করে আট মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পরে।

তদন্ত কমিটির প্রধান কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রদেয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভূক্তভোগি মামুন মোল্লার ডিও আত্মসাতের বিষয়টি তদন্তকালে গৌরনদী উপজেলা খাদ্য অফিস ও খাদ্য গুদাম কার্যালয়ের নথিপত্র অনুসন্ধান করে ডিও উত্তোলনে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পরেছে।

এছাড়াও খাদ্য উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অশোক কুমার চৌধুরী, সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আরিফুর রহমান, নিরাপত্তা প্রহরী খাদিজা বেগম লিখিত বক্তব্যে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামুন মোল্লার স্বাক্ষর জাল করে চাল আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনটি ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত খাদ্য কর্মকর্তা বিএম শফিকুল ইসলাম ও ওসিএলএসডি শেখ আব্দুস সালামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা উভয়েই পূনঃতদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাসরিনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test