E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার পাড়ার শিল্পীরা

২০১৮ আগস্ট ১৪ ১৬:৩৬:৫৮
আগৈলঝাড়ায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার পাড়ার শিল্পীরা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আর এক সপ্তাহ পরেই ঈদ উল আযহা। কোরবানির ঈদ মানেই পশু জবাই। আর পশু জবাই করতে দরকার দা, বঠি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। তাই গ্রহকের চাহিদা অনুযায়ি এসব জিনিসপত্র বানাতে আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পেটানো ঠুং ঠাং শব্দে দিন ও রাতে সমান ব্যস্ত সময় পার করছেন আগৈলঝাড়ার কামার শিল্পীরা। কোরবানির দিন যত ঘনিয়ে আসছে কাজের ব্যবস্ততা ততই বাড়ছে। অধিক পরিশ্রম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময়ে বাড়তি রোজগারের আশায় পথ চেয়ে থাকেন কামার পারার শিল্পীরা।

লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির অপরিহার্য এসব জিনিসপত্রের দামও এবার বেড়েছে বলে জানিয়েছে রাজিহার গ্রামের কামার শিল্পী অশোক সরকার, বাসুদেব দাশ।

তারা জানান, এখন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। কামারদের কেউ ব্যস্ত নতুন দা-বঠি তৈরিতে, আবার কেউ ব্যস্ত পুরনো দা, বঠি, ছুরি, চাপাতিতে শান দিতে। তবে নতুন কাজের চেয়ে গৃহস্থদের কাছে পশু জবাইয়ের জন্য পুরানোগুলোতেই শান দিতে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এজন্য গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশী পারিশ্রমিক দিয়ে আগে থেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোক রেখেছেন তারা।

সরেজমিনে আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজার, রাজিহার, গৈলা বাজার, গুপ্তের হাট বাজার, সাহেবেরহাট, বাশাইল, পয়সারহাট, ছয়গ্রামসহ বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বঠি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছে কামাররা। ব্যবহার্য্য জিনিস স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মৗসুমী ব্যবসার জন্য পশুর মাংস বানিয়ে বাড়তি রোজগার করতে কসাইরা অনেকেই নতুন জিনিসপত্র বানাচ্ছেন। কামারপাড়ার এই ব্যস্ততা থাকবে কোরবানির দিন পর্যন্ত।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test