E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিবেদিত প্রাণ কক্সবাজারে ইশতিয়াক আহমেদ জয়

২০১৮ আগস্ট ২০ ১৫:৫১:০৭
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিবেদিত প্রাণ কক্সবাজারে ইশতিয়াক আহমেদ জয়

বিশেষ প্রতিবেদক : ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, এ মহাবিশ্বে যিনি বা যারা নেতা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁদের এমন কিছু বিশেষ গুণাগুণ ছিল যা তাঁদেরকে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। 

সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এ বিশেষ গুণাগুণের মাধ্যমেই তাঁরা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে তাঁদের নিজেদের নাম লিখিয়েছেন । শোষিত মানুষের নেতা ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’ কিংবা রাজনীতির কবি ‘বঙ্গবন্ধু’র জীবনী বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে , নিজ কর্মদক্ষতার বলেই তাঁরা তাঁদের স্ব স্ব স্থানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন ।

মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুষ্ট সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ভারতের অবিসংবাদী নেতা ‘মহাত্মা গান্ধী’ কিংবা কিউবার কালজয়ী নেতা ‘ফিদেল কাস্ট্রো’রা সবসময়ই প্রস্তুত ছিলেন । নেতাকে বিশ্লেষণী মনের অধিকারী হতে হবে, নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগের সামর্থ্য থাকতে হবে, পরিস্থিতি সামলাবার মতো মনের জোর, সাহস ও প্রজ্ঞা এবং সর্বোপরি দৃঢ়চেতা হতে হবে।

এই হচ্ছে একজন সার্থক বা সফল নেতা কিংবা নেতৃত্বের । নেতৃত্বের যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা না থাকে, প্রজ্ঞা ও সাহস না থাকে তাহলে সংকট তীব্র পর্যায়ে যায় । নেতৃত্ব যদি অর্বাচীনের মতো কারও পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে তো তার পরিণাম ভয়াবহ হতে বাধ্য। নেতা জনগণকে নেতৃত্ব দেবে নাকি জনগণের নির্দেশ মতো চলবে এ এক বিতর্কই বটে!

তবে যা সত্য তা এই যে, নেতৃত্বকে জনকল্যাণমুখী, ত্যাগী, সাহসী, বিচক্ষণ এবং দূরদর্শী হতেই হবে। তা না হলে বিপদ পদে পদে ঘনীভূত হবে।

উপরোক্ত গুণাবলী যখন আমার লেখাতে ধারণ করছিলাম ঠিক তখনই একটি নাম তাঁর আপন গতিতে আমার হৃদয়ে হুংকার দিয়ে উঠেছিল । যে নামের সাথে একজন নেতার সবকটি গুণাবলী একে অপরের পরিপূরক। যার জন্মই হয়েছে জয় করার জন্য।

মেধা ও মননশীলতায় তারুন্যের জয়ধ্বনিতে উচ্চারিত হয় যার নাম । তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন, ছাত্রসমাজের সাথে তার অনুরাগ ভালোবাসা, কমিটমেন্ট, একটি জনপদের পশ্চাৎপদ ছাত্রসমাজের ভাগ্যর উন্নয়নে নিজের সম্পৃক্ততা তাকে নানা মুখী কর্মস্রোতে সম্পৃক্ত করেছে।

এই আবেগ এবং ত্যাগ তাকে যেমন মানুষ প্রেমে উজ্জীবিত করেছে পাশাপাশি নিত্য নতুন সৃষ্টিতে তাঁকে তাড়িত করেছে । বলছিলাম কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা সংগ্রামী সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় এর কথা।

ক্লিন ইমেজের বিকশিত,ব্যক্তিত্ব,ছাত্রসমাজের অহংকার,তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা ছাত্রনেতা,বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূর্ত প্রতীক ইশতিয়াক আহমেদ জয় ইতিমধ্যে ছাত্রসমাজের কাছে নিজেকে একজন ছাত্রবান্ধব অভিভাবক হিসেবে আবির্ভূত করেছেন।

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে অনেক মহৎ কিছু করার অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছেন ছাত্র রাজনীতির উজ্জল নক্ষত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভ্যানগার্ড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ইশতিয়াক আহমেদ জয়।

কিশোর বয়সের যে সময়টায় সবাই ব্যক্তিগত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে অভিমান-অনুযোগে ব্যস্ত সে সময়েই তিনি ব্যক্তিগত গন্ডির বাইরে ভাবতে শিখেছিলেন। ছোটবেলায় যখন সবাই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন লালন করতেন তখন ইশতিয়াক আহমেদ জয় স্বপ্ন দেখতেন একজন সৎ রাজনীতিবিদ হবার । শৈশব থেকেই প্রিয় বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করেন তিনি ।

লেখাপড়ার পাশাপাশি গ্রগতিশীল ধ্যান-ধারণার ব্যক্তিত্ব প্রিন্স সবসময় ছিলেন রাজনীতি সচেতন। তিনি লেখাপড়া ও ছাত্ররাজনীতিকে একসূত্রে বেঁধেছেন অত্যন্ত সুনিপুণভাবে। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতি নিয়েও প্রচুর অধ্যয়ন করেছেন।

তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়েছে আজ ‘ইশতিয়াক আহমেদ জয়’ একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছাত্রনেতা, হাজারো ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর অভিভাবক, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা।

যখনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী অশুভ শক্তি প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে,বিদ্রুপাত্মক স্লোগানে কলুষিত করেছে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস,আর ঠিক তখনই রুখে দাঁড়িয়েছেন ইশতিয়াক আহমেদ জয়।

সৎ সাহস,প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর দারুণ দক্ষতার সমন্বয়ে দুস্কৃতিকারীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। ইশতিয়াক আহমেদ জয় কেবল রাজনীতিবিদ হিসেবেই অনন্য নন,তাঁর রয়েছে অসাধারণ মানবিক গুণাবলি। লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তিনি এক আদর্শের প্রতিচ্ছবি।

বিলাস-বাহুল্যবর্জিত সাধাসিধে জীবনযাত্রা এবং পোশাকে আশাকে তিনি নিজেকে মাটির মানুষ, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিয় নেতা হিসেবে অসামান্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার আসনে বসিয়েছে।

বিশ্বায়নের যুগে মাঠের প্রতিযোগিতার সাথে মেধা মননের প্রতিযোগিতায় সামনে থেকে নেতৃত্ত্ব দিয়ে ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এগিয়ে নেবার দৃপ্ত শপথে বলীয়ান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী এই সভাপতি ।

তার সুদক্ষ নেতৃত্বে এবং নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ আজ ছাত্রলীগের একটি মডেল ইউনিট হিসেবে উপাধি পেয়েছে।মানবিকতার প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি ইশতিয়াক আহমেদ জয়। যেখানেই বিপর্যয় সেখানেই অকুতোভয় সৈনিকের মতো ছুটে গিয়েছেন তিনি ।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন জয়। দিনের পর দিন বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা সহযোগিতা করেছেন তিনি। ইশতিয়াক আহমেদ জয় বরাবরই মানবিক ছিলেন।

নিজ পরিশ্রম এবং অর্থায়নে অনেক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন জয়। সবসময়ই প্রচারবিমুখ ছিলেন বলে নীরবে নিভৃতে অবহেলিত মানুষের পাশে ছিলেন তিনি ।

কিছু দিন আগেও তিনি এতিম বাচ্চাদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। এতে প্রায় ৫ শতাধিক স্থানীয় এতিম ও গরিব শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। ইফতার শেষে এতিম বাচ্চাদের চোখের ভাষার বিবরণ দেয়ার সাধ্য আমার নাই।সেদিনের ইফতারে শুধু ‘মানবতার জয়’ হয়েছিল ।

সাধারণ ছাত্রদের কল্যাণ, শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনের উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির চর্চার বিকাশে ইশতিয়াক আহমেদ জয় এর মতো একজন অভিজ্ঞ ছাত্রনেতার প্রয়োজন সবসময়ই থাকবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার ৩ সদর-রামু আসনটি পুনরুদ্ধার করে আওয়ামী লীগের অবস্থানকে পর্যটন শহর কক্সবাজারে আরো অনেক বেশী শক্তিশালী করার প্রয়োজনে ইশতিয়াক আহমেদ জয় এর জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থান,সাংগঠনিক ক্ষমতা,তৃনমূলের সাথে সংযোগ সমাদৃত।

এই সব কিছু কে কাজে লাগানোর জন্য কক্সবাজার ০৩ সদর-রামু আসনে ইশতিয়াক আহমেদ জয়কে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলীয় সভানেত্রীর কাছে জোর দাবী জানাবেন তৃনমূল আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ সহ কক্সবাজার এবং রামু থেকে নির্বাচিত বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।

(জেজে/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test