E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজারহাটে পাউবোর প্রকল্পে তিস্তা বেড়ি বাধে ধস, তীরবর্তীরা আতংকিত

২০১৮ সেপ্টেম্বর ০২ ১৬:৩৯:৪৫
রাজারহাটে পাউবোর প্রকল্পে তিস্তা বেড়ি বাধে ধস, তীরবর্তীরা আতংকিত

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) এর অধীনে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙ্গন  প্রতিরোধে বেড়ি বাধ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম- দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পরই বেড়ি বাধের একাংশ ধসে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী বসবাসকারীরা আতংকিত হয়ে পড়েছে। যেকোন মূহুর্তে বাধটি সম্পন্ন ধসে গিয়ে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। 

গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ কোটি ২৯লাখ ২৩ টাকার এ প্রকল্পের কাজ খুড়িয়ে খুড়িয়ে ২০১৬ সালে জুন মাসে শেষ করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সেন্ট সিমেন্ট (বালু সিমেন্ট মিশ্রিত) তৈরি করে জিও টেক্সটাইল ফিল্টার ও বস্তা বসানোর কথা ছিল।

এ ছাড়া দু’বছরে ১লাখ ৯৫হাজার বালু সিমেন্ট ভর্তি বস্তা ফেলে তীর সংরক্ষেণের কথা থাকলেও তারা ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজস করে ১লাখ বস্তা তৈরি করে কাজ সম্পন্ন করে । ঠিকাদার ক্ষমাতাসীন দলের সুবাদে সেন্ডিকেট তৈরি করে তড়িঘড়ি করে কাজ সম্পন্ন করেছে। ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও শ্লোগান টি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তিস্তা রক্ষার বাধ ভেস্তে যেতে বসেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, ডাংরার হাট নামক স্থানে ৪ কোটি ২৯লাখ ২৩টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর বাধটি সংরক্ষণের কাজ শুরু করা হয়। এলাকাবাসী জানান, উৎকোচের বিনিময়ে তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। স্টিমেট মোতাবেক কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসী আতংকিত। যে কোন মুহুর্তে এই বেরি বাধ ভেঙ্গে ফসলী জমি মৎস্য খামার সহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

পাউবোর ওই প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা সাব-এ্যাসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এসও) আবুল কালাম জানান, ২০১৪ সালে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সঠিক সময়ে কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালের জুন মাসে কাজটি সম্পন্ন হয়। ডাংরারহাট বেড়ি বাধটি ইতোমধ্যে কিছু অংশ ধসে পড়েছে। আবারো বেশ কিছু বস্তা দিয়ে বাধটি পূণ সংষ্কার করা হবে। শুকনো মৌসুমে বাধটির সম্পন্ন কাজ করা হবে।

রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম পাইবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ধস বা ফাটল ধরলে আমরা সারা বছর মেরামত করে যাব। অনিয়মের ব্যাপারে জানান, যতটুকু কাজ হয়েছে ততটুকুরেই বিল প্রদান করা হয়েছে।

(পিএমএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test