E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর : অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১১

২০১৮ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৭:৩৬:৩১
এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর : অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১১

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় বাদিপক্ষের ৪ নং সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। 

বুধবার মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানম। পাশাপাশি এমপি রানার জামিনের বিষয়ে বুধবার সকাল ১১ টায় বিচারিক হাকিম আদেশ দেয়ার কথা থাকলেও বিকেল চারটায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ৮ আগস্ট আসামীপক্ষের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) জামিন বিষয়ে আদেশ দেয়ার দিন ধার্য করেছিলো আদালত।

বাদিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আদেশের ব্যাপারে অধিকতর শুনানীর আবেদন করলে, আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তার বিরোধিতা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষীগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিকে জামিনের আদেশকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে সকাল থেকেই পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করে। আদালত চত্বর ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বেলা ১১ টার দিকে আসামীপক্ষের সমর্থকরা শহরের শামসুল হক তোরণ এলাকায় অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় এক রাউন্ড টিয়ালশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচার দাবিতে আদালত চত্বর ও শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

এই মামলায় আমানুর রহমান খান রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

এর আগে দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারপর থেকে প্রায় ২ বছর ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় এই সাংসদ।। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

(আরকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test