E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গলাচিপা সদর হাসপাতালের প্রধান সড়কটি সরু ও খানাখন্দে ভরা

২০১৮ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৫:২১:৩৩
গলাচিপা সদর হাসপাতালের প্রধান সড়কটি সরু ও খানাখন্দে ভরা

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপা সদর হাসপাতালের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দের কারনে রোগী, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই। এ যেন দেখার কেউ নেই। 

সদর হাসপাতালটি পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ওই সড়কটির পাশে একিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি পাকা জামে মসজিদ, চারটি ক্লিনিক, বেশ কয়েকটি ঔষধ, মুদি মনোহরি, খাবার ও চায়ের দোকান রয়েছে। প্রতিনিয়ত গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী এ দু’ উপজেলার শত শত রোগী স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার জন্য হাসপাতালে আসেন। কিন্তু সড়কটির এ বেহাল দশার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। বিশেষ করে মুমূর্ষু ও গর্ভবতী রোগীদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে গেলে অনেক সময় এ্যাম্বুলেন্সের দরকার হয়। কিন্তু সড়কটি এ্যাম্বুলেন্স চলার অনুপযোগী।

জানা গেছে, ওই সড়কে খানাখন্দের কারণে একজন গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে পৌঁছার পূর্বেই সড়কের ওপরে সন্তান প্রসব করেন। এছাড়া, ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক ঝুঁকির মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। সড়কটি এতটাই সরু যে, পাশাপাশি দু’টি রিক্সা চলার সময় পথচারীর হাঁটার কোন পথ থাকে না। যার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা। সড়কটি সরু ও দীর্ঘ পথ জুড়ে সড়কের উভয় পাশে খাদা থাকার কারণে সড়কের পাশে তেমন কোন দোকান-পাট ও স্থাপনা গড়ে ওঠেনি। অসহায় গরীব রোগীরা চিকিৎসার জন্য টাকার অভাবে পায়ে হেঁটে হাসপাতালে যাওয়ার সময় তারাও দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সড়কটি প্রশস্ত ও পুণঃনির্মান করা না হলে ক্রমেই দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

এ ব্যাপারে বৃদ্ধ রোগী বকুলী রানী বলেন, রিক্সা লইয়া হাসপাতালে আইতে পারি না। রাস্তা ভাঙ্গা তাই আমি পায়ে হাঁইটা হাসপাতালে যাইতাছি। আমার খুব কষ্ট লাগে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র মোসা. আঞ্জুমান আরা করুনা জানান জাইকার অর্থায়নে অতি দ্রুত হাসপাতালের সড়কটি প্রশস্ত করে পুনঃনির্মান করা হবে।

(এসডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test