E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বাগেরহাটের ৩ উপজেলা সদরে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি

২০১৪ জুলাই ১৫ ১৯:২৮:২০
বাগেরহাটের ৩ উপজেলা সদরে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে নদ-নদীর পানি উপচে পড়ায়  গত ৩দিনে বাগেরহাটের ৩টি উপজেলা সদর ও ৩টি পৌরসভাসহ ৮০টি প্রামের প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার কয়েক’শ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ী পানিতে তলীয়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ খেয়ে-নাখেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

এমনকি মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবনের নিজতলার অফিস গুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ৫০টি চিংড়ি ঘেরসহ প্রায় ২ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়া ৩টি উপজেলা সদর হচ্ছে, মংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলা। পৌরসভা ৩টি হচ্ছে মংলা পোর্ট, মোড়েলগঞ্জ ও বাগেরহাট পৌরসভা। এসব পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ সড়কসহ বাড়ি-ঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে সাধারন মানুষের রান্না-বান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় আছড়ে পড়ছে বিশাল-বিশাল ঢেউ। সাগরে টিকতে না পেরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত জেলেরা সাগরে জাল ফেলতে পারছেনা।

শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন নদী ও খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে, পূর্ণিমার কারনে উপকূলীয় নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ, মংলা পৌরসভা ছাড়াও বাগেরহাট সদরের যাত্রপুর, বারইপাড়া, রাখালগাছি, খানপুর, বেমরতা, বাগেরহাট পৌরসভার হাড়িখালী ও খানজাহান পল্লী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বাগেরহাট পৌর এলাকার খানজাহান পল্লীর বাসিন্দা মাসুম শেখ জানান, ভেড়িবাধ উপছে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তাদের বাড়ী-ঘর মাজা সমান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা শুকনো খাবার খাচ্ছেন। তারা পানিবন্দি হয়ে থাকলেও প্রসাশন বা জনপ্রতিনিধিদের কেউ তাদের খোঁজ নিতে আসেনি।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ এলাকার ফেরদৌস হোসেন মুন্সী জানান, কেওড়া নদীর দু’পাড়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার ধরে বেঁড়িবাঁধ না থাকায় এসব এলাকার গ্রামগুলোর মধ্যে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় সবচেয়ে নিম্ম আয়ের মানুষের নানান ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি দ্রুত এসব এলাকার বেড়িবাঁধের দাবি জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র মন্ডল জানান, গত ৩ দিনের অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৫০ টি চিংড়ি ঘের ও ২ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এই অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে কি পরিমান চিংড়ি ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা নিরপনে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উপকুলীয় মৎসজীবি সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী জানান, বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় গত ৩দিনে সমুদ্রের অধিকাংশ ট্রলার টিকতে না পেরে পাথরঘাটা, মহিপুর ও শরণখোলাসহ নিজ নিজ এলাকায় চলে এসেছে।

(একে/জেএ/জুলাই ১৫, ২০১৪)


পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test