E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালিগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যায় আরো দুইজন গ্রেফতার 

২০১৮ সেপ্টেম্বর ১২ ১৭:১০:৫৯
কালিগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যায় আরো দুইজন গ্রেফতার 

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলায় আরো দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাদেরকে শ্যামনগর উপজেলার মুনসুর সরদারের গ্যারেজক ও কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের হাজিরউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ও কৃষ্ণনগর ১নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ রাজগুল বিশ্বাস (৪০) ও একই উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের শৈলেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে রণজিৎ মণ্ডল (৩৫)।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন হত্য্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী রণজিৎ মণ্ডলকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার মুনসুর সরদারের গ্যারেজ এলাকা থেকে ও প্রায় একই সময়ে গ্রাম পুলিশ রাজগুল বিশ্বাসকে কৃষ্ণনগর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার মোজাফফর বিশ্বাসের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ি কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবলীগ অফিসের পাশে মঈনুদ্দিনের কম্পিউটার দোকানের শার্টারে লাগা গুলির খোসা লুকানোর অভিযোগ রয়েছে গ্রাম পুলিশ রাজগুলের বিরুদ্ধে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত খোকন ঢালীকে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মোজাফফর বিশ্বাসের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ি এজাহার বহির্ভুত প্রায় ৩০ জনকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমান পাওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে মামলার বাদি সাফিয়া পারভিন জানান, গ্রাম পুলিশ রাজগুল বিশ্বাস তার বাবার খুব কাছের মানুষ। তাকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে জাপা নেতা কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার বড় মেয়ে সাদিয়া পারভিন ১৯জনসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত মোজাফফর বিশ্বাস, মণ্টু ঘোষ, খোকন ঢালী, রণজিৎ মণ্ডল ও গ্রাম পুলিশ রাজগুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোজাফফর বিশ্বাস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মন্টু ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন জানানো হয়।

এদিকে দলীয় নেতাকে হত্যার ঘটনায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রি সৈয়দ দিদার বখত, জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদুর রহমান, সদর শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ তপন, কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি মাহাববুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ছাদিকুর রহমান, শ্যামনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, তালা শাখার সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম জেলা যুব সংহতির সভাপতি শাখাওয়াত করিম, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের প্রমুখ বুধবার দুপুরে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

তারা অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও নিরীহ লোকজন যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে তারা নিহতের কবর জিয়ারত করেছেন।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test