E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে কালভার্ট বন্ধ করায় জলাবদ্ধতায় অর্ধশত কৃষকের ফসল বিনষ্ট

২০১৮ সেপ্টেম্বর ১৪ ১৬:০৯:৫৩
গৌরীপুরে কালভার্ট বন্ধ করায় জলাবদ্ধতায় অর্ধশত কৃষকের ফসল বিনষ্ট

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা মাওহা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে কালভার্ট বন্ধ করে দেয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় দু’বছর ধরে অর্ধশতাধিক কৃষকের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উক্ত ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ৫১ জন কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে কালভার্ট স্থাপনের মাধ্যমে উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য দাবিতে স্থানীয় কৃষকরা বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

অভিযোগ ওঠেছে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুছের ছেলে আব্দুল গণি (৪০) গংরা ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া একমাত্র রিং কালভার্টটি জোরপূর্বক মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলায় কৃষকের এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্থানীয় কৃষকদের ধান, অন্যান্য কৃষি ফসল বিনষ্টসহ মৎস্য চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কৃত্রিম স্থায়ী জলাদ্ধতার কারনে অধিকাংশ জমি অনাবাদি ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ৫১ জন কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে কালভার্ট স্থাপনের মাধ্যমে উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য দাবিতে স্থানীয় কৃষকরা বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকগণ জানান, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মধ্যপাড়া ও কোনাপাড়ার এলাকার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি তাদের পিতৃপুরুষের কালের অনেক পূর্ব থেকেই স্থানীয় আব্দুর রহিমের জমি দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চইরভাঙ্গা বিলে নেমে যেতো। প্রায় বিশ বছর পূর্বে ওই স্থান দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মাটির রাস্তা নির্মাণ ও পানি প্রবাহের জন্য উল্লেখিত স্থানে একটি রিং কালভার্ট স্থাপন করা হয়। প্রায় দু’বছর পূর্বে উল্লেখিত আব্দুল গণি গংরা জোরপূর্বক পানি প্রবাহের রিং কালভার্টটি মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে স্থানীয় ৫১ জন কৃষকের ১০ একর জমির ধানসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল বিনষ্ট হয়ে ও মৎস্যচাষীদের পুকুর তলিয়ে গিয়ে প্রতি মৌসুমে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। অনেক অসচ্ছল কৃষক পরিবার ফসল ফলাতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে এলাকায় বেশ কয়েকটি দরবার-সালিশ হলেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। তাই এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল গণি জানান, উল্লেখিত দু’টি পাড়ার বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি তার চাচা আব্দুর রহিমের জমি দিয়ে এককভাবে প্রবাহিত হওয়াতে খরাস্রোতে তাদের ফসলের ক্ষতি হতো। এ কারনে তারা রিং কালভার্টটি মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছেন।

এ ঘটনার সত্যতা উল্লেখ করে মাওহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপন সাংবাদিকদের জানান, ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।

(এসএইচএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test