E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ভূঞাপুরে স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাৎ, অধ্যক্ষের অব্যাহতি 

২০১৮ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৬:৩১:০১
ভূঞাপুরে স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাৎ, অধ্যক্ষের অব্যাহতি 

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : ভূঞাপুরে স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠায় অব্যাহতি দিলেন মনোয়ারা মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ এন্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ২০০৪ সালে মনোয়ারা মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ এন্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান ডা. এম. এ. আওলাদ হোসেন। অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেলেও কখনো ক্লাস বা দাপ্তরিক কাজে কলেজে আসেন না তিনি। ভূঞাপুরে আব্বাস শিশু ক্লিনিক নামক তার নিজস্ব চেম্বার হতে কিছু কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতেন ডা. আওলাদ হোসেন । এই সুযোগে কলেজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্রে স্বাক্ষর জাল করে চালিয়ে দিতেন অফিস সহকারী হালিমা খাতুন ও তথাকথিত পরিচালক মিজানুর রহমান মাসুদ।

শিক্ষা বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে জাল স্বাক্ষর করাসহ শিক্ষার্থীদের সাথে নানা রকম প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পরিচালক মিজানুর রহমান মাসুদের বিরুদ্ধে। ইতিপূর্বে নাসিং ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির প্রলোভনের নামে শিক্ষার্থীদের পেসেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি করিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩ কোটি টাকা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে, শিক্ষার্থীদের সাথে নানা প্রতারণা সহ অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি বের হয়ে আসে।

ডা. এম. এ. আওলাদ হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি তার অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে অফিস সহকারী হালিমা খাতুন এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মিজানুর রহমান মাসুদ আমার স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষার্থীদের সাথে নানা রকম প্রতারণা করে আসছে। আমি নিজেও তার প্রতারণার শিকার। গত ২৮ আগস্ট ২০১৮ ইং ডাগযোগে অব্যাহতি পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

এদিকে প্রতিষ্ঠানের সকল দায় এড়াতে অধ্যক্ষ ডা. আওলাদ হোসেন অব্যাহতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের।

মনোয়ারা মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ এন্ড হাসপাতালের অফিস সহকারী হালিমা খাতুনের নিকট কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে বলেন, সবই মাসুদ স্যার জানেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার গিয়ে এবং মোবাইল ফোনে মিজানুর রহমান মাসুদকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(আরকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test