E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাণীনগর মহিলা কলেজ

বহিস্কৃত অধ্যক্ষ দায়িত্ব বুঝে না দেওয়ায় শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত

২০১৮ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৫:২০:২৬
বহিস্কৃত অধ্যক্ষ দায়িত্ব বুঝে না দেওয়ায় শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলামকে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গত ৬ সেপ্টম্বর সাময়িক বহিষ্কার করে কলেজ পরিচালনা কমিটি। বহিষ্কারের ১০ দিনেও দায়িত্ব বুঝে না দেওয়ায় কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওই কলেজের ২৭ জন শিক্ষক অর্থ আর্থসাৎ, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণসহ ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে সম্প্রতি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা কমিটি গত ৬ সেপ্টম্বর অধ্যক্ষ মিরাজুলকে সাময়িক বহিষ্কার করে নোটিশ প্রদান করে। একইসাথে ওই নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়।

এছাড়া বহিস্কার থাকা অবস্থায় নিরপেক্ষ তদন্ত, প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার স্বার্থে অনতিবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বহিস্কারের ১০ দিন (গত রোববার পর্যন্ত) অতিবাহিত হতে চললেও এখন পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। এতে কলেজের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কলেজের উপাধ্যক্ষ চন্দন কুমার মহন্ত বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।

রাণীনগর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চন্দন কুমার মহন্ত বলেন, বহিস্কৃত অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম দায়িত্ব বুঝে না দেওয়ায় কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। গত ৯ সেপ্টম্বর থেকে কলেজে ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র অধ্যক্ষের কাছে রয়েছে। তিনি সেই সব কাগজ বুঝে না দেওয়ায় পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে কলেজে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র অধ্যক্ষের কাছে থাকায় কলেজের বেশ কয়েকটি শিক্ষক পদ ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও এনটিআরসিএ-তে চাহিদাপত্র পাঠানো যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাময়িক বহিস্কৃত অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নোটিশ পেয়েছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব দেব।’ দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও অধ্যক্ষ রয়েছি। এ অবস্থায় দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।’

রাণীনগর মহিলা কলেজের পরিচালনা কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন জানান, শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা কমিটি নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষ মিরাজুলকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁর জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালনা কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

(এসকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test