E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

কাপাসিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত

২০১৮ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৫:১৯:০১
কাপাসিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত ও পরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মো. সিয়াম (১০) নামে ওই শিক্ষার্থী  মঙ্গলবার  ওই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে অভিভাবকদের কাছে নির্যাতনের কথা জানায়। লোহাদী কোরআন শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. আমীর হোসেন এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে। শিক্ষার্থীকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর মামা সাগর জানান, সিয়াম ওই মাদ্রাসায় হিফজুল বিভাগে পড়াশোনা করছে। আবাসিক অনাবাসিক দুটি পদ্ধতিতে মাদ্রাসায় পাঠদান করা হয়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে আনাবাসিকের শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় রাত্রিযাপন করতে হয়। কিন্তু আনাবাসিকের খাবার সরবরাহ করা হয় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে।

শিক্ষার্থীর মা শিখা আক্তার জানান, শনিবার খাবার নিয়ে গিয়ে সিয়ামের সাথে শিক্ষকেরা তার সাক্ষাত করতে দেয়নি। সাক্ষাত করতে চাইলে শিক্ষকেরা জানায় সিয়াম বাথ রুমে রয়েছে। রোববার, সোমবার একইভাবে একই কথা বলে শিক্ষকরা তার ছেলের সাথে সাক্ষাত করতে দেয়নি। পরে মঙ্গলবার শিক্ষার্থী সিয়াম মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে তার মামা বাড়িতে এসে স্বজনদের কাছে নির্যাতনের ঘটনা জানায়।

সিয়াম মুঠোফোনে জানায়, শনিবার রাতে সে বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি চায়। বার বার ছুটি চাওয়ায় শিক্ষক মো. আমীর হোসেন তাকে পায়ের পাতাসহ শরীরের বিভন্ন স্থানে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এ কথা কাউকে জানাতেও বারণ করে। এরপর থেকে শ্রেণীকক্ষ ও বাথরুম ছাড়া তাকে কোথাও যেতে দেয়া হয়নি। মঙ্গলবার সে পালিয়ে চলে আসে।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মো. সেলিম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসায় থাকাকালে ওই শিক্ষার্থী তাকে কিছুই জানায়নি। পরে অভিভাবকদের কাছ থেকে তিনি এসব বিষয়ে জেনেছেন।

তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রোকেয়া সুলতানা মাদ্রাসা ছাত্র ভ’র্তি ও আঘাতের চিহ্নর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাকসুদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করে শিক্ষার্থীর পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলেছি।

(এসকেডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test