E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেখ হাসিনাই আমাদের আলোর পথের দিশারী, জন্মদিনের শুভেচ্ছায় মানিক 

২০১৮ সেপ্টেম্বর ২৮ ০০:০৩:৫২
শেখ হাসিনাই আমাদের আলোর পথের দিশারী, জন্মদিনের শুভেচ্ছায় মানিক 

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : স্বাধীন বাংলাদেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেত্রী দেশ রত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারীদের অন্যতম নেতা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিক।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আমাদের আলোর পথের দিশারী। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এই নেত্রী ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহনের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীন অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য।

মানিক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, সমুদ্রজয়সহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।

অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে মধুমতি নদীর তীরবর্তী গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের কাছেই। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলসহ পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই বড়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় পরম করুনাময়ের অশেষ রহমতে পৃথিবীর আলো বাতাসে বেঁচে আছেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় তার প্রথম সন্তান জয়ের মা হন। ১৯৭২ সালে ৯ ডিসেম্বর কণ্যা পুতুলের জন্ম দেন তিনি।

১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ওই বছরেরই ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।

১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পরে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং পাঁচশ’ নেতা-কর্মী আহত হন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ আইনজীবী কল্যান সমিতির সভাপতি নেত্রকোনা- ৩ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো: সাইদুর রহমান মানিক বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের ভয়াবহ নির্যাতনে আশ্রয়হীন ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে অবাক করে দিয়েছেন বিশ্বকে। আজ সারা বিশ্বেই তাঁর নাম আলোচিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মানবতার বিবেক’ ‘বিশ্ব মানবাতর মা’ হিসেবে। জাতিসংঘের অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর এই মানবিক দৃষ্টান্তের প্রশংসা করেছেন। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাঁকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের যোগ্য আসনে।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সম্মানসূচক ডিগ্রি পদক ও স্বীকৃতি দিয়ে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানকে সম্মানিত করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে-ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি অব জাপান-এর সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ল ডিগ্রি, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব আলবারটে ডান্ডি’র সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ফিলোসফি ইন লিবারেল আর্ট, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান সূচক দেশীকোত্তমা, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট অফ লস, মার্কিন যুক্তরাষ্টের ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটির ডক্টর অব হিউম্যান লেটারস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি ডক্টরেট অব ল’স প্রদান, পল হারিস ফেলোশিপ দ্য রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, ইউনেস্কোর হাউফুয়ট-বোনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮, এম কে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮, মাদার তেরেসা পুরস্কার-১৯৯৮ এবং ২০০৬, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের র‌্যান্ডলফ ম্যাকন মহিলা কলেজের পার্ল এস বাক পুরস্কার-১৯৯৯, সিইআরইএস পদক- ১৯৯৯, এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পুরস্কার (শিশু মৃত্যু)-২০১০, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০০৯, দক্ষিণ-দক্ষিণ পুরস্কার-২০১১, এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পদক-২০১৩, পুরস্কার, রোটারি শান্তি পুরস্কার- ২০১৩, শান্তি বৃক্ষ-২০১৪ আইসিটি স্থায়ী উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৪, পৃথিবীর চ্যাম্পিয়ন্স অবদ্য আর্থ-২০১৫, এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬, এবং প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পদক-২০১৬।

৭২ তম জন্মদিনে তিনি (শেখ হাসিনা) বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩ তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

সাইদুর রহমান মানিক বলেন, তাঁর জন্মদিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করবে আওয়ামী লীগ তথা সারা দেশের মেহনতি মানুষ। আজকের এই দিনে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশকে মহান মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনাই দেশ ও দলের কান্ডারী। শেখ হাসিনা মানেই ডিজিটাল বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই আলোর পথের দিশারী। তিনি আমাদের মাঝে শতায়ু হয়ে বেঁচে থাকুন পরম করুময় সৃষ্টিকর্তার দরবারে এই প্রার্থনাই করেন মানিক।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test