E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চিকিৎসক সংকট

আত্রাই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্ছিত আড়াই লাখ মানুষ

২০১৮ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৭:৫৬:০৯
আত্রাই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্ছিত আড়াই লাখ মানুষ

নওগাঁ প্রতিনিধি : চিকিৎসক সংকটে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে এলাকার আড়াই লাখ মানুষ। বর্তমানে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।এতে রোগীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মিলছেনা কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্য সেবা। চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগীই ফিরে যাচ্ছেন বাইরের ক্লিনিকে।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপেক্সটিতে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও এর বিপরীতে আছেন মাত্র তিনজন। এতে গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ২০০-২৫০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা সুষ্ঠুভাবে দিতে পারছেন না এই তিনজন চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। এ স্বাস্থ্য কমপেক্সে তত্ত্বাবধায়ক, আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও), জুনিয়র কনসালটেন্ট, মেডিসিন, সহকারী সার্জারি ও ডেন্টাল সার্জনসহ মোট ২৪টি পদ রয়েছে। তবে হাসপাতালে কর্মরত আছেন তিনজন। বাকি পদগুলো চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘদিন ফাঁকা রয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় রোগীরা বাইরের ক্লিনিকের দিকে ঝুঁকছেন। এতে দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হতে হচ্ছে এসব সাধারণ মানুষকে। ফলে অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের অর্থ সংকটে পড়তে হয়।

এছাড়া বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোর্শেদ মো. মনিরুজ্জামান প্রশাসনিক কাজে অনেক সময় ব্যস্ত থাকায় তিনজন ডাক্তারের পক্ষে রোগীদের চাপ সামলাতে হাঁপিয়ে উঠেন। এছাড়াও হাসপাতালে রয়েছে ওষুধ সঙ্কট। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম থাকলেও হাসপাতালে না পাওয়ায় রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে সেগুলো।

এ ব্যাপারে উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাসপাতালে এলেও চিকিৎসক সঙ্কট থাকায় তেমন সেবা পাওয়া যায় না। যে কয়জন ডাক্তার আছেন প্রতিদিন চিকিৎসা দিতে গিয়ে রোগীদের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠেন।

এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোর্শেদ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও এখনো সে তুলনায় জনবল আসেনি। ফলে চিকিৎসা দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে চাপের মধ্যে থেকেও ডাক্তাররা সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন।

তিনি আরও জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দুইজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। সম্প্রতি স্পেশাল বিসিএসের মাধ্যমে ডাক্তার নেয়া হচ্ছে। অতি শিঘ্রী তারা যোগদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুমিনুল হক বলেন, গোটা জেলাতেই চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। তবে অবিলম্বে চিকিৎসক নিয়োগ হবে।

(বিএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test