E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাবনা ২ : আ.লীগ-বিএনপির হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে

২০১৮ অক্টোবর ০১ ২১:৫২:৪৭
পাবনা ২ : আ.লীগ-বিএনপির হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে

স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততটাই শীর্ষস্থানীয় আওয়ামীলীগ-বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নিয়েছে। তৃণমূল মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। একদিনে বিপুল সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশী। আর অন্যদিকে নানা শ্রেণিপেশার ভোটার। দু’য়ে মিলেই গরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। শীর্ষ দুটি দলের প্রার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারপ্রচারণা। 

নির্বাচনী এলাকায় কানায় কানায় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন আর বড়বড় হডিংয়ে। হ্যান্ডবিড, স্টিকার আর পোষ্টার সাটানো হয়েছে দোকানপার্ট, বাড়িঘর, বাজার, যানবাহনসহ নানা জায়গায়। প্রার্থীরা জানান দিচ্ছেন আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নানা প্রতিশ্রুতি। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের প্রচারপ্রচারণায় উঠে এসেছে দেশের উন্নয়নের সার্বিক চিত্র। এবারে মনোনয়ন প্রত্যাশার তালিকায় বর্তমান সাংসদ, সাবেক সাংসদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ব্যারিষ্ট্রার, আইনজীবী, রাজনীতিবিদদের পদচারণায় মুখর নির্বাচনী মাঠ।

ফজরের কাঁক ডাকা ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত চলছে নির্বাচন ঘিরে আলাপ আলোচনার পসড়া। অলস, নির্বাচন মুখি কিছু মানুষের খোড়াকে পরিণত হয়েছে আসন্ন নির্বাচন। বাজার, গ্রামের চায়ের দোকানগুলোর সে চিত্রই জানান দিচ্ছে সাধারণের মধ্যে। দিনমজুর, কর্মমুখি নানা শ্রেণির মানুষ যার যার কর্ম শেষে ঝড় তুলছেন চায়ের দোকানগুলোর ছাউনিতে। যোগ হচ্ছে নির্বাচনী হিসেব নিকেশ। কোন প্রার্থী কেমন, কারা মওসুমি প্রার্থী, কারা এলাকার মানুষের উন্নয়ন, মানুষের সুখ দুঃখের সাথী, কাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে। চলছে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার আলোচনা আর সমালোচনার ঝড়।

এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নির্বাচন আসলেই চায়ের দোকান, বাজার ঘাট, হোটেল রেস্তরা, যানবাহন, সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত, স্কুল কলেজ, খোলা মাঠ সর্বত্রই চলছে নির্বাচন ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা। এর সাথে যোগ হচ্ছে ত্যাগী, মওসুমি ও হাইব্রিড প্রার্থীদের আমলনামা। তবে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে, সাধারন মানুষ, দলীয় নেতাকর্মি ও সমর্থকদের সাথে এমনকি কর্মজীবি মানুষের সাথে আলাপকালে উঠে আসে এই আসনের নির্বাচনী হালচাল।

তাদের মতে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে এই আসনে আওয়ামীলীগের বিএনপি প্রার্থীর ভোটের লড়াই হবে। তবে সাধারণ ভোটারদের মতে, আওয়ামীলীগ বিএনপি থেকে যদি বিদ্রোহী প্রার্থীর আবির্ভাব ঘটে, সেক্ষেত্রে নির্বাচনী হাওয়া পাল্টে যাবে। তবে উভয় দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দাবী, তারা নিজেরা দলীয় মনোনয়ন না পেলে দল যাকে দেবে তার পক্ষেই কাজ করবেন তারা।

ভোটারদের অভিমত, পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসন থেকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির ডজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশার ব্যক্ত জানিয়ে মাঠ চষছেন। এই আসনটি ১৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। তন্মধ্যে সুজানগর উপজেলার ১০ টি এবং বেড়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন এই নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভূক্ত। তাদের মতে, স্বাধীনতা পরবর্তী এই আসন থেকে ৪ বার আওয়ামীলীগ ও ৩ বার বিএনপির প্রার্থী জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর ১ বার নির্বাচিত হয়েছে জাতীয় পার্টি থেকে। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৫ হাজার ১০ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৩২ জন।

নির্বাচন ঘিরে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ, মিটিং মিছিল, শুভেচ্ছা বিনিময়, মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা, হ্যান্ড বিল বিতরণ, পোষ্টারিং, বড়বড় হর্ডিং টাঙ্গানো, প্যানাসাইন, স্টিকারসহ নানা মুখি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বারবার সরকারের সকল পর্যায়ের উন্নয়ন ফিরিস্তি উঠে আসছে। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নির্বাচনী এলাকার ত্যাগী নেতাদের বাইরেও যুক্ত হয়েছেন অনেক হাইব্রিড নেতারা। তৃণমূল নেতাকর্মিদের দাবী, নির্বাচন আসলেই অতিথি পাখির মতো রাজধানী ঢাকা তথা দেশের বাইরে থেকে অনেকেই প্রার্থী হতে জানান দেন এ সময়টাতে।

আসন্ন এই নির্বাচন ঘিরে এই আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে যারা মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তারা সরকারের সকল পর্যায়ের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য তালিকায় রয়েছেন; জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি, বর্তমান সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজু, সাবেক সাংসদ মরহুম আহমেদ তফিজ উদ্দিনের সন্তান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ফিরোজ কবির, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষিবীদ ড. মির্জা এম এ জলিল, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব ড. মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান খাঁন উজ্জ্বল ,রাকসুর সাবেক জিএস, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানাসহ আরও অনেকে।

বর্তমান সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, বেড়ার ধোবাখোলা করনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা অবস্থায় রাজনীতির হাতে খড়ি পেয়েছি। এরপর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখাবস্থায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। পড়ালেখা শেষ করার পর এলাকায় এসে বেশ কয়েকবার আওয়ামীলীগের তৎসময়ের প্রার্থী মরহুম আহমেদ তফিজ উদ্দিনের নির্বাচন করেছি। তাকে নির্বাচিত করতে সব ধরণের ত্যাগ স্বীকার করেছি। ২০০৯ সালে বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এরপর পিছু তাকাতে হয়নি। ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই।

সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, নগরবাড়ী নদীবন্দর, বাফার গোডাউন, মেরিন একাডেমী, গাজনার বিল প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন তার সময়ে হয়েছে।

তিনি বলেন, আবার যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই আসন থেকে মনোনয়ন দেন তাহলে অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করবো। তিনি বলেন, পদ্মা ও যমুনা তীর সংরক্ষণ, যমুনা নদী ড্রেজিং প্রকল্প, ড্রেজিং কৃত বালি পূর্বপারে ভরাট করে সেখানে সরকারের পরিকল্পনা মতে একটি ইকোনোমিক জোন করে হাজার হাজার ছেলে মেয়ের বেকার সমস্যার সমাধানের বিষয়টি মাথায় রেখেছি।

এমপি আরজু বলেন, ঢালারচর খয়ের চর সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। যা রাখালগাছি থেকে মানিকগঞ্জ আরিচাঘাট পুনরায় ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ার প্রধান সড়কে পরিণত করা হবে। এছাড়াও ঈশ্বরদী ঢালারচর রেললাইন পরবর্তীতে সরকারের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর সাথে সংযুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, বেড়া উপজেলার যমুনা চরে ১২ একর জায়গার উপর একটি সোলার প্যানেল করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চরের মানুষের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর পর বাকি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে।

সাংসদ আরজু বলেন, এ সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার খুব ইচ্ছে রয়েছে। যদি আমাকে আবারও মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে আমার নির্বাচনী এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন পুরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। এমপি আরজু বলেন, দল আমাকে কোন কারণে মনোনয়ন না দিলে যাকে দেবে তার পক্ষেই কাজ করবো।

আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সাংসদ আহমেদ তফিজ উদ্দিনের পুত্র আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, আওয়ামীলীগকে তৃণমূল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাঝে তুলে ধরতে চাই। বঙ্গবন্ধুর চাওয়া আর আমার বাবা মরহুম আহমেদ তফিজ উদ্দিনের স্বপ্ন। আর আমি এই কাজটি করতে চাই। আমি মনোনয়ন পেলে এবং আমার নির্বাচিত এলাকার ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে আমার প্রথম চাওয়া, নির্বাচিত এলাকার যে উন্নয়ন প্রয়োজন। সেটা কেন্দ্রের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বরাদ্দ এনে সমাধান করতে চাই। আমার মূল লক্ষ্য নির্বাচনী এলাকার মানুষকে মূলধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদক নিয়ে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। আমি ওই পথেই হাটতে চাই। আমার নির্বাচনী এলাকায় মাদক নির্মূলে যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, মাদক বিরোধী সমাবেশ, গণসংযোগ, প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

ফিরোজ কবির বলেন, সরকারের সকল পর্যায়ের উন্নয়ন জনগণের দৌড়গড়ায় পৌছাতে আমার প্রচারপ্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক ও যুবসমাজের মধ্যে মূল্যবোধ অবক্ষয় রক্ষায় ইতোমধ্যে ২১ হাজার গণস্বাক্ষর গ্রহণ করেছি। আমার লক্ষ্য, যুব সমাজকে বোঝা নয়, মাদকাসক্ত নয়, সন্ত্রাসীর পথে নয়। তাদেরকে যোগ্য, উপযুক্ত ও মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, তাদেরকে আগামীদিনের যোগ্য উত্তর সূরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। সমাজ পরিবর্তনে মানুষের কল্যাণেই দলীয় মনোনয়ন চাই, এলাকার মানুষের খেদমত করার জন্য।

ফিরোজ কবিরের একান্ত ঘনিষ্ট জন, সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, এবারে প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করছি। প্রয়াত সাংসদ আহমেদ তফিজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার যোগ্য উত্তরসুরী আহমেদ ফিরোজ কবির। বাবার মৃত্যুর পর এলাকায় দলের জন্য নিরলশভাবে পরিশ্রম করছেন। এবারের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে আমরা নৌকা প্রতীককে জয়যুক্ত করবো এমন আশাবাদী।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি থেকে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, তাদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির যুগ্ন-সম্পাদক, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিজিএম সদস্য শিল্পপতি আব্দুল হালিম সাজ্জাদ, পাবনা জেলা বিএনপির সহসভাপতি, হাইকোর্টের ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও এ্যবের সদস্য সচিব কৃষিবীদ হাসান জাফির তুহিনসহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।

বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ন-সম্পাদক, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিজিএম সদস্য শিল্পপতি আব্দুল হালিম সাজ্জাদ বলেন, শৈশব, কৈশোর এমনকি অধ্যবধি বিএনপির রাজনীতির সাথে আষ্টেপিষ্টে আছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো। ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রদল, যুবদল করে এসেছি। বর্তমানে মূল দলের হয়ে এলাকার মানুষের পাশে আপদে বিপদে সবক্ষেত্রে অবস্থান করছি। সাজ্জাদ বলেন, নির্বাচনী এলাকাতে বিএনপিকে চাঙ্গা করতে যা যা করা প্রয়োজন করছি। দলীয় নেতাকর্মিদের পাশে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছি। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি নিজ উদ্যোগেও একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছি।

বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম সাজ্জাদ বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি এলাকার মানুষের কল্যাণে যা যা করার দরকার কেন্দ্রীয় পরামর্শে তা সম্পন্ন করবো। রাজনীতিবিদদের কাজ মানব সেবা করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানুষের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়াই প্রকৃত রাজনীতিবিদের লক্ষণ এমনটাই দাবী বিএনপি’র এই নেতার। সাজ্জাদ বলেন, নেতাকর্মিদের নামে হয়রানী মূলক মামলা দায়ের হয়। সে সকল মামলা আমি ব্যক্তিগতভাবেই তাদেরকে আইনী ঝামেলা থেকে সহায়তা করেছি।

বিএনপির একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে তারা বলেন, গণমাধ্যমে জেনেছেন, পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসন থেকে বিএনপির প্রাথমিক তালিকায় বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিবকে। তবে এই তালিকায় আবারও পরিবর্তন আসতে পারেন এমন মন্তব্য বিএনপির একাধিক নেতার। তবে সাবেক সাংসদ এডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশা করেই মাঠে ছিলাম। গণমাধ্যমে প্রাথমিক তালিকায় নাম এসেছে। আশা করছি এই তালিকাই অব্যাহত থাকবে।

এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী হাইকোর্টের ব্যারিষ্টার সাইফুর রহমান বলেন, ২০০৪ সালে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে ফিরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। ২০০৮ সালে তিনি জেলা বিএনপির সহসভাপতি নির্বাচিত হন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন সরকারি চাকুরে, সমাজসেবক বজলুর রহমানের সন্তান তিনি। বাবা যেমন সাধারণ মানুষের সেবা করেছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাবার সেই আদর্শ হিসেবেই তিনি বিএনপির থেকে মনোনয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে এই এলাকার মানুষের সেবা করতে চান। তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, নির্মাণ, বেহাল অবস্থা দূরীকরণ, মাদকবিরোধী সচেতনতা, শিক্ষার প্রসারে সচেষ্ট থাকবেন। ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান বলেন, মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে তার যে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পারিবারিক অবস্থান থাকার কথা। সব শর্ত পূরণ করতে তিনি সক্ষম। সেহেতু তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

নির্বাচনী দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততটাই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। শেষ সময়ে কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন, কে করবেন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন। ভোটের মাঠে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ সকল বিষয় নিয়েই মূলত এখন টান টান উত্তেজনা আর চায়ের কাপে ঝড় বইছে। তবে সাধারণ মানুষের দাবী, সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, আর্দশবান, দূর্নীতি মুক্ত এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন এমন ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দিয়ে সাংসদ নির্বাচনের আশাবাদী তারা।

(পিএস/এসপি/অক্টোবর ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test