E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাদুল্যাপুরে পিয়নের হাতে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার

২০১৮ অক্টোবর ০৩ ১৭:০৩:০২
সাদুল্যাপুরে পিয়নের হাতে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইদুলপুর ইউনিয়নের তাজনগর মৌজায় ৫৪ শতকের মধ্যে ২২ শতক জমির উপর ১৯৪৬ সালে স্থাপিত তাজনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমান ১১৪ জন ছাত্রছাত্রী ও ৩ জন নারী শিক্ষক ও ১ জন পুরুষ প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী নিয়ে পথ চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। 

এ বিদ্যালয়ের ১০ জন ছাত্রছাত্রীর ৮ জন ছাত্রী ও ২ জন ছাত্র এদের মধ্যে এ বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম পিয়ন আরিফুল ইসলামের হাতে ৫ ম শ্রেনীর মেধাবী এক ছাত্রী যৌনহয়রানী স্বীকার হয়েছে । এ ঘটনায় অত্র এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যৌনহয়রানীর ঘটনায় কেন্দ্র করে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রী শুন্যতা শুরু হয়েছে । যৌনহয়রানির শিকার ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিক্তিতে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। গতকাল তদন্ত কমিটি তদন্ত কালিন সময়ে বিদ্যালয়ের চাবি বুঝে নিয়ে সাময়িক ভাবে বিদ্যালয়ে না আসার নিদের্শ প্রদান করেছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত দপ্তরি কাম পিয়ন আরিফুল ইসলামের কোন প্রকার শাস্তি না হওয়ায় অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে ৫ ম শ্রেনীর ১০ জন ছাত্রছাত্রীর একজনও বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলো না । তবে ৪র্থ ও ৩ য় শ্রেনীর ৮ জন ছাত্রছাত্রী কে দেখতে পাওয়া যায়। আর ২ জন নারী শিক্ষক সহ প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সরকারকে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিভাবকগণ নিজেদের সন্তানদের বিদ্যালয় পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে । বিদ্যালয়টি ছাত্রছাত্রীর শুন্যতা দেখা দিয়েছে । অত্র বিদ্যালয়টি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন।

এসময় প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সরকার জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর অত্র বিদ্যালয়ে পরীা চলাকালীন সময়ে কাস রুমে ভিতর ঘটনাটি ঘটলেও আমরাদের বা কাস রুমে দায়িত্বরত শিক কে বিষয়টি ছাত্রী বা পিয়ন কেউ অবগত করেনি । তারা উপজেলা শিা অফিসার বরাররে অভিযোগ করার ফলে শিক্ষা অফিস গত কাল ১ অক্টোবর তদন্ত শুরু করেছেন । ছাত্রীকে যৌনহয়রানি ঘটনাটি দুংখজনক তদন্ত শুরু হয়েছে তদন্ত শেষে জানা যাবে ঘটনাটি কি ঘটেছে । তবে বর্তমান সময়ে অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক ভাবে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেছে ম্যানেজিং কমিটি । এসময় ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কম কেন জানতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখান তিনি এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় নিজের দুর্বলতার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এরপর অভিযুক্ত দপ্তরি কাম পিয়ন আরিফুল ইসলামের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি । তবে তার পরিবার জানান ,ঘটনাটি বানানো আরিফুল এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় শত্র“তা করে তাকে ফাসাতে চাচ্ছে একটি চক্র । আরিফুলের ভাই আশরাফুল জানান, আমার ভাই নিরাপরাধ তাকে চাকুরীচুক্ত করতে এ চক্রটির এমন অভিযোগ।

যৌনহয়রানির স্বীকার ছাত্রীর মা জানান, এর আগে পিয়ন আরিফুল ইসলাম বিদ্যালয়ের একটি দরিদ্র ছাত্রীর সাথে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলো পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে এরপর আবার গত ২৯ সেপ্টেম্বর পরীা চলাকালিন সময়ে আমার কন্যার সহিত যে আচারণ করেছে এ আচারণের শাস্তি দাবি করে আমরা শিা অফিসে অভিযোগ দিয়েছি যাতে অপরাধীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হয়। আমার সন্তান কে তো আর এ বিদ্যালয়ে পাঠাবো না তবে আর কোন ছাত্রী ভবিৎষ্যতে যেন এমন আক্রোশের স্বীকার না হয় ।

(এসআইআর/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test