E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজারহাটে ১১৯ মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

২০১৮ অক্টোবর ০৫ ১৫:৪১:৪৮
রাজারহাটে ১১৯ মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : আনন্দময়ী মা দূর্গার আগমনে প্রতিটি ঘরে ঘরে আনন্দ ছুটে আসবে, এমন প্রত্যাশাই করছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। 

আগামী ৮ অক্টোবর সোমবার সূর্য উদয়েন সাথে সাথে মহালয়ার মধ্যদিয়ে দেবী দূর্গা ঘটকে আগমন ঘটলে শুরু হবে দূর্গাপূজা। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা এবারে জাকজমকভাবে পালিত হবে। শুধু এ উপজেলায় হবে ১১৯টি মন্দিরে শারদীয়া দূর্গোৎসব।

এ উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরিসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারে সাধারণভাবে একটি মন্দিরে পূজা উদযাপন করতে ব্যয় হবে সর্বনি¤œ ৮০হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩/৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। দূর্গা পূজা মন্দিরের আশপাশের ১টি/ ২টি পাড়ার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিজ উদ্যোগে আয়োজন করে থাকে। যদিও এ ধর্মে বেশকিছু উঁচু-নিচু জাত রয়েছে তারপরও সকল শ্রেণির ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে এ দিবসটি জাকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়।

উপজেলার দূর্গা মন্দিরগুলোর মধ্যে সুন্দরগ্রাম পুটিকাটা সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি বাবু ইন্দ্রকমল রায় বলেন, সাধারনত: একটি দূর্গা মন্দিরের ব্যয় প্রতিমা তৈরিতে সর্বনিম্ন ২০/২৫হাজার টাকা, ঢাকী ১টা ১০হাজার টাকা, প্ররোহিত ১০ হাজার টাকা, দূর্গা প্রতিমা সাজাতে উপকরণ বাবদ ৫/১০হাজার টাকা, প্রসাদ প্রতিদিন ২/৩হাজার টাকা, শুধু ৮ম দিন প্রসাদ ২হাজার টাকা, ডেকোরেটর বাবদ ২০/৩০ হাজার টাকা, আরতী প্রতিযোগীতায় ৩ হাজার টাকা, পুলিশ আনসার আপ্যায়ন ৩ হাজার টাকা, চকিদার বাবদ ১হাজার টাকা ও অতিথি আপ্যায়ন বাবদ ২/৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। মধ্য ও উচ্চ পর্যায়ে দেড় থেকে ৩/৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়ে থাকে বলে মন্দিরের আয়োজকরা জানান। কিন্তু সরকারীভাবে সামান্য অনুদান পাওয়া যায়। যা দিয়ে পুজার প্রতিমা তৈরির খরচ জোগার হয় না। তাই তারা সরকারের কাছে অনুদান বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এরপরও থেমে নেই হিন্দু সম্প্রদায়ের এ উৎসব। তারা বছরের পর বছর ধরে শরৎ ঋতুতে এ উৎসব পালন করে আসছেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তায় দূর্গা মন্দিরগুলোতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে উৎসব পালিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন আয়োজকরা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৯টি মন্দিরে, ছিনাই ইউনিয়নে ২৪টি মন্দিরে, রাজারহাট ইউনিয়নে ১৯টি মন্দিরে, চাকিরপশার ইউনিয়নে ২২টি মন্দিরে, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে ৪টি মন্দিরে, উমর মজিদ ইউনিয়নে ১১টি মন্দিরে ও নাজিমখান ইউনিয়নে ২০টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যাপারে ৫ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জানান, মুসলমান- হিন্দুসহ সকলের সহযোগীয়তায় মন্দিরগুলোতে দূর্গা পূজা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান বলেন, দু’একদিনের মধ্যে সরকারীভাবে পূজার অনুদান মন্দিরের সভাপতির হাতে প্রদান করা হবে। এবারে পূজা জাকজমকভাবে পালিত হবে বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

(পিএমএস/এসপি/অক্টোবর ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test