E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বরগুনার নিম্নাঞ্চল দিনে দুইবার প্লাবিত

২০১৪ জুলাই ১৭ ১৪:০৯:৪৫
বরগুনার নিম্নাঞ্চল দিনে দুইবার প্লাবিত

বরগুনা প্রতিনিধি : অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে বরগুনা পৌর শহরসহ বালিয়াতলী ও নলটোনা ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্রতিদিন দু’বার প্লাবিত হচ্ছে।

উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীগুলোতে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। আষাঢ়ে পূর্ণিমার ফলে সৃষ্ট জোয়ারে পানির এ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বরগুনায় জোয়ারের পানির গড় উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৩৭ মিটার। যা বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনায় মোট ৯০৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ও মহাসেনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৮০ কিলোমিটার যা এখনও সংস্কার হয়নি।

ফলে সিডর, আইলা ও মহাসেন বিদায় নিলেও এখনও আতঙ্ক কাটেনি উপকূলবাসীর। প্রতি বছর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ও কিছু কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে এমনিতেই বরগুনার উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ আতঙ্কে থাকেন। এখন জোয়ারের পানিতে দিনে দু’বার প্লাবিত হওয়ায় এ আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের পালের বালিয়াতলী এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে এম বালিয়াতলী, ঢলুয়া ও নলটোনা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতে জোয়ারের পানি ঢুকে গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। প্রতিদিন দিনে ও রাতে দু’বার জোয়ারের সময় এই গ্রামগুলো বুক সমান পানিতে তলিয়ে যায়।

বালিয়াতলী গ্রামের সগির হোসেন (৩৮) বলেন, গত বছরও পানিতে ভেসেছি, এ বছরও আমাগো বেহাল দশা। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক বলেন, ভরা জোয়ারের চাপ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধগুলো মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। বরগুনা পৌরশহরের রাস্ত-ঘাটগুলোও প্রতিদিন দু’বার করে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বাধ্য হয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে অধিকাংশ ব্যবসায়িকে।
মৎস্য ব্যবসায়ি রাজিব মাঝি বলেন, প্রতিদিন দুবার জোয়ারের পানিতে আমাদের মাছের বাজার তলিয়ে যায়। ফলে মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।

বরগুনা পৌরসভার মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, অনেক দিনের পুরনো ঢাকনা দিয়ে বরগুনা পৌর শহরের ড্রেনগুলোর মুখ আটকানো আছে। কিন্তু এগুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকলেও বর্ষা শেষে আমরা নিজেরাই নতুন ঢাকনা লাগিয়ে এ সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নেব।

(এমএইচ/জেএ/জুলাই ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test