E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ

২০১৮ অক্টোবর ০৮ ১৬:২৫:২৫
শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদুল আমীন শাহীনসহ আরো ২-১ জন পরিচালক ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। 

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ ওঠায় অভিভাবকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষাদানের অন্তরালে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদুল আমীন শাহীনসহ আরো ২-১ জন পরিচালক ও শিক্ষক বিভিন্ন প্রলোভন, ভয়ভীতি, পরীক্ষার খাতায় অধিক নম্বর দেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি সনমতানতুল্য ছাত্রীদের সাথে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছেন। লোক লজ্জার ভয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি প্রকাশ না করায় প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ মে রেজিস্ট্রি পাড়া শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস কক্ষে জনৈক শিক্ষিকাকে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদুল আমীন শাহীন চাকুরির ভয় ও প্রলোভন এবং অর্থের লোভ দেখিয়ে অশ্লীলভাবে যৌন নিপীড়ন করেছেন। গোপন ও প্রকাশ্যে তদন্ত করলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও অভিযোগে বলা হয়। টাঙ্গাইল মডেল থানায় গত ৪ অক্টোবর সাজ্জাদ মাহমুদ চৌধুরী নামীয় এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ(নং-২০২, তাং-৪/১০/১৮ইং) দায়ের করেন। তিনি প্রমাণ হিসেবে অভিযোগের সাথে একটি সিডি ডিস্কও সংযুক্ত করে দেন।

সাজ্জাদ মাহমুদ চৌধুরী লিখিত অভিযোগে শাহীন শিক্ষা পরিবারের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ তথা যৌন নিপীড়ন বন্ধে তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানান।

এ বিষয়ে শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদুল আমীন শাহীন জানান, তদন্তে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তবেই দোষী সাব্যস্ত করা যাবে, নচেৎ নয়। তবে তার শিক্ষা পরিবারে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে- প্রাথমিক তদন্তের পর কেউ দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

(আরকেপি/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test