E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মৌলভীবাজার-৩ : বড় দুই রাজনৈতিক দলেই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

২০১৮ অক্টোবর ০৯ ১৭:১৪:০৬
মৌলভীবাজার-৩ : বড় দুই রাজনৈতিক দলেই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : দরজায় কড়া নাড়ছে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন অনেকটাই সরগরম। ধীরে ধীরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারিদিকে। ভোটের মাঠে যেমন রয়েছে নির্বাচনী আমেজ তেমনি অজানা শঙ্কাও বিরাজ সাধারণ মানুষের মাঝে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন তথ্য নির্বাচন কমিশনের। হিসাব মতে তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই হবে এ নির্বাচন।

নিরপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্তাধিন জোট যখন এই নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমান, ঠিক তখনই ভোটারদের নজর কাড়তে দলীয় টিকেট পাওয়ার আশায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। মনোনয়ন দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রবাসী নেতারাও।

জানা যায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ (সদর ও রাজনগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি নেছার আহমদ ও সদর ৩ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর সহধর্মীনি ও বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিন এমপি। তবে শেষ পর্যন্ত নৌকা আর ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যেই হবে মূল নির্বাচনী লড়াই। প্রধান দু’দল ছাড়া অন্য দলের প্রার্থী এই আসনে নির্বাচনে অংশ নিলেও এই লড়াইয়ে কে জিতবে, কে হারবে তা বলা সম্ভব না হলেও মূলত জয়ের মালা পরবেন প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই প্রার্থীর যে কোন একজন।

বেশ কয়েকবার এই আসন থেকে বিপুল ভোটে সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বর্ষীয়ান সদস্য ও সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের এক যুগান্তকারী ইতিহাস সৃষ্টি করেন। যার কারনে তৃণমূলে দলটির রয়েছে বিশাল ভোটব্যাংক। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আগামী নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে এই আসনটি পূনরুদ্ধার করা সম্ভব।

এদিকে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে পুনরায় প্রার্থী হতে দলের মনোনয়ন চাইছেন মৌলভীবাজার-৩ (সদর ও রাজনগর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন এমপি। বর্তমানে দেশের বাহিরে থাকার কারনে এই সংসদ সদস্যের কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার মেয়ে ও সৈয়দ মহসীন আলী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে তিনি বলেন, সৈয়দা সায়রা মহসীন গত তিন বছর ধরে নিরলস ভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন, এই তিন বছরে নিজের নির্বাচনী এলাকায় মাদ্রাসা,স্কুল,ব্রিজ কালবার্ট, রাস্থাঘাটসহ নানা উন্নয়ন কাজ করেছেন।

অনেক এমপি নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান না, কিন্তু সায়রা মহসীন সংসদ অধিবেশন অথবা কোন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছাড়া সবময়ই মানুষের জন্য কাজ করেছেন ও করছেন। তিনি দাবী করে বলেন আগামী নির্বাচনে প্রয়াত সৈয়দ মহসীন আলীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি অর্জন ও সততাকে কাজে লাগিয়ে তাঁর অসমাপ্ত উন্নয়নকে সমাপ্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন সায়রা মহসীনকে দেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি ও তার পরিবার।

গত শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মৌলভীবাজার শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আগাম প্রচার পত্র বিলি করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেছার আহমদ । একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মত জেলা শহরের এই নির্বাচনী প্রচারাভিযান চলাকালে এসময় দলের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমানসহ বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন। তবে এ পর্যন্ত নির্বাচনী এই আসনে অন্য দলের কোন প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচার চালাতে দেখা যায়নি।

এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী হয়ে আগামী নির্বাচনে লড়তে চান জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি নেছার আহমদ। ন্যায় বিচারক ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে এ রাজনীতিবীদের। নিজ বাড়িতে আলাপকালে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন দলের তৃণমূলের সাথে আমার সম্পর্ক বেশি, আমি সাধারণ মানুষের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এবং সমাজের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, এজন্য আমি আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি আশা রাখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলের মনোনয়ন দিবেন, আমাকে মনোনয়ন দিলে নৌকা প্রতীক জয়ী হবে। তিনি আরো বলেন, অতিতে যেভাবে আমি দলের এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি সেভাবে আগামী নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো। তবে দলের পক্ষে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁকে বিজয়ী করতে কাজ করে যাবো।

মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন আওয়ামীলীগের আরেক নেতা আব্দুল মালিক তরফদার শোয়েব। গত কয়েক বছর যাবত দলের ক্লিন ইমেজের এই নেতা মৌলভীবাজার সদরের বিভিন্ন সামাজিক ও দলীয় কর্মকান্ডে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে।

দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হলে নির্বাচনের জন্য আমি পুরোপুরি প্রস্তুত আছি জানিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক ভিপি আব্দুল মালিক তরফদার শোয়েব বলেন, আগামী নির্বাচনে মৌলভীবাজার সদর রাজনগর-৩ আসনের তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীরা সৎ ও যোগ্য প্রার্থী চান, বর্তমানে মৌলভীবাজার সদরের এই আসনটিতে মূলত একধরনের অভিভাবক শূন্যতা বিরাজ করছে। অনেক ক্ষেত্রে ত্যাগী নেতাকর্মীরাও বঞ্চিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বন্ধ করে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

এদিকে আওয়ামীলীগের টিকিটে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান দলের যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি ও সমাজসেবক এম এ রহিম সিআইপি। প্রবাসী এই নেতা জেলার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে বেশ সক্রিয়। নিজ অর্থায়নে এলাকায় গড়ে তুলছের ডিগ্রি কলেজ, হাফিজি মাদ্রাসা, এতিমখানা সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আমি ৬৯ সাল থেকে ছাত্রলীগ করেছি, বর্তমানে আমি এখানে দলের জন্য কাজ করছি সাধারণ মানুষের জন্যও কাজ করছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি মনোনয়ন দেন তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব সে লক্ষে আমি মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আর যদি মনোনয়ন না পাই তাহলে যাকে তিনি মনোনয়ন দিবেন আমি তার পক্ষেই কাজ করে যাবো।

এদিকে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধিন মহাজোটের শরিকদল শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান এমপি’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ একাংশ সারা দেশের ২৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী চেয়ে দলের ২৫জন প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত করে ১৪ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এই ২৫টি আসনের মধ্যে মৌলভীবাজার-৩ আসনটি রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে জেলা জাসদের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল মোসাব্বিরকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন দলটির জেলা সভাপতি আসম ছালেহ সোহেল।

এ-প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জাসদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি আব্দুল মোসাব্বির আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার প্রার্থীতা প্রসঙ্গে বলেন, আমি আমার দলের পক্ষ থেকে চুড়ান্ত সংকেত পেয়েছি নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে। সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে খুব ভাল করে চেনেন এবং জানেন, আশা করি তিনি বাস্তবতা অনুভব করে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী অধ্যুসিত মৌলভীবাজার সদর আসনে আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করে ভিশন বাস্তবায়নের পথ কে সুগম করবেন।

নির্বাচনকে সামনে মৌলভীবাজার -৩ আসনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বাধিন জোটেই চলছে নির্বাচন নিয়ে নানা সমিকরন। এই আসনটিতে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান দীর্ঘ সময় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কারনে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তবে ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর কাছে প্রয়াত এম সাইফুর রহমান বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলে আসনটি হাড়ায় বিএনপি।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মৌলভীবাজার সদরের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি পুনরুদ্ধার করাই হবে দলটির জন্য চ্যালেঞ্জ। এখন পর্যন্ত যেটা ধারনা করা যায়, সেটা হলো এই আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ আলোচনা আছেন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান পুত্র এবং জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের নাম।

এ বিষয়ে নাসের রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হবে যখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হবে, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন কমিটি গুলোকেও সক্রিয় করছি।

তিনি বলেন, সরকারের মতিগতি কিছু বুঝা যাচ্ছেনা, দিবালোকের মত সত্য এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনী পরিবেশ নাই, গায়েবী মামলা দিয়ে সরকার চাচ্ছেনা যাতে আমরা নির্বাচনে অংশ নেই। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত এবং ঐক্যবদ্ধ, কারন হল এখানেতো আওয়ামীলীগের সাথে কোন কন্টেস্ট হবেনা।

একাধিক বিএনপি নেতাদের সাথে আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থীতা বিষয়ে কথা বলতে গেলে এসব নেতার একই উত্তর চেয়ারপার্সন যেখানে কারাগারে সেখানে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে সদরের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে প্রার্থী হতে আগ্রহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহনের পরিবেশ পায় তাহলে আমি এই আসনটিতে প্রার্থী হতে দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো, কারন আসনটিতে যত উন্নয়ন হয়েছে তা কেবলমাত্র বিএনপি শাসনামলেই হয়েছে। এজন্য আসনটি পূনরুদ্ধার করাই আমাদের মূল টার্গেট।

তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তাঁর পক্ষেই মাঠে কাজ করে নির্বাচিত করে আসন পুনরুদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো।

মৌলভীবাজার সদরের এই আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আগ্রহী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা বেগম খালেদা রব্বানীর।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন আমাদের কাছে প্রধান এজেন্ডা নয়, এই মুহুর্তে আমাদের দলীয় চেয়ারপার্সন কারাগারে, তাঁকে মুক্ত করাই আমাদের মূল কর্মসূচি।

তিনি বলেন, চেয়ারপার্সন কারাগার থেকে মুক্ত হলেই কেবল মাত্র বিএনপি নির্বাচনে যাবে, সেক্ষেত্রে সবার অধিকার আছে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার আমারও সেই অধিকার রয়েছে। তবে তার কন্ঠেও একই কথা,দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা সবাই মিলে তার পক্ষেই কাজ করবো।

দলীয় কোন্দল জিইয়ে রেখে সদরের এই আসনটি পুনরুদ্ধার করা কতটা সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা রব্বানী বলেন, আমাদের মধ্যে কোন কোন্দল নেই, সবাই ঐক্যদ্ধ,আমরাতো জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমানের সাথে কাজ করতে চাই। আসন্ন নির্বাচনে দলের টিকিটে এই আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আরেকজনের নাম শুনা যাচ্ছে।

তিনি হলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তির্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান। তবে দলের এই নেতা দেশের বাহিরে অবস্থান করায় আগামী নির্বাচন নিয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে সদরের এই আসনে আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরিকদল খেলাফত মজলিশও মাস কয়েক পূর্বেই তাদের দলীয় জনসভায় দলটির আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক দলের পক্ষে প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার -৩ আসনটির জন্য খেলাফত মজলিসের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও রাজনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ বিলালের নাম ঘোষণা করেন।

এরপর থেকে দলটির এই নেতা নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন জায়গায় আগাম প্রচারণা শুরু করেন। সবশেষ গত ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আবারো নিজের প্রার্থীতা জানান দিতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয় করেন দলের সম্ভাব্য এই প্রার্থী।

সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির চার প্রার্থী ও জোটের শরিক খেলাফত মজলিশের এক প্রার্থী সহ সর্বমোট ৫ প্রার্থী এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে জুটবে জোটের টিকিট সেটা হয়তো সমই বলে দিবে।

(একে/এসপি/অক্টোবর ০৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test