E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি, প্রস্তুত বাগেরহাটের ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র

২০১৮ অক্টোবর ১০ ১৮:৪১:৩৪
ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি, প্রস্তুত বাগেরহাটের ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ধেঁয়ে আসায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র তান্ডব মোকাবেলায় বুধবার বিকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরে বিশেষ সতর্ক বার্তা এলার্ট-২ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার কারণে মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমন ও নিগর্মন বন্ধ রাখা হয়েছে। সুন্দরবনের সকল পর্যটকদের সন্ধ্যার আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রবন বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগজ্ঞ ও রামপালের স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্বিস,মেডিকেল টিম ও রেডক্রিসেন্টসহ জেলার ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হযেছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে বাগেরহাটসহ মোংলা বন্দর আশপাশ উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া সেই সঙ্গে মুশল ধারে বৃষ্টি শুরু হযেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার মো. দুরুল হুদা জানান, ৪ নং স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত জারির পর বুধবার দুপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে ঘোষনা করা হয়েছে রেড এলার্ট-২। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার কারণে বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমন ও নিগর্মন বন্ধ রাখা হয়েছে। জাহাজগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে র্নিদেশ দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে বন্দর জেটিতে অবস্থানরত সকল বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান মুঠো ফোনে জানান, ঘূণিঝড়ের আগাম সর্তকতা হিসেবে সুন্দরবনের সকল পর্যটকদেও সন্ধ্যার আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘূর্ণিঝড় তিতলি তান্ডব থেকে রক্ষার জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। বন বিভাগের সকল নৌযান নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপান কুমার বিশ^াস জানন, জেলার অভ্যন্তরীন রুটে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বিকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতিমূলক সভা করে জেলার শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগজ্ঞ ও রামপালের স্থানীয় প্রশাসন,ফায়ার সার্বিস,মেডিকেলটিম ও রেডক্রিসেন্টসহ জেলার ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ১০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test