E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

পানিবন্দি পরিবারে রান্না বন্ধ, সাইক্লোন শেল্টারে থাকা ক্ষতিগ্রস্তরা পায়নি সরকারি সহায়তা

২০১৮ অক্টোবর ১২ ১৭:০৫:৫১
পানিবন্দি পরিবারে রান্না বন্ধ, সাইক্লোন শেল্টারে থাকা ক্ষতিগ্রস্তরা পায়নি সরকারি সহায়তা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পানি উন্নয় বোর্ডের ৩৫/১ নম্বর পোল্ডারের বগী ও গাবতলা এলাকায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ানে নির্মানাধীন উপকূলীয় বেড়ীবাঁধ (সিইআইপি) প্রকল্পের ২০০ মিটার বাঁধ নদীতে ভেঙ্গে ৪ দিন ধরে জোয়ারের পানি ঢুকে লোকালয় আর নদী একাকার হয়ে গেছে। ৩টি গ্রামর রাড়ীঘর প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ী ও কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। ভেসেগেছে ৫ শতাধিক মাছের খামার ও পুকুরের মাছ। চারদিনেও ভাঙ্গন রোধে নেওয়া হয়নি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা। রান্না না করতে পেরে কয়েক হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো পায়নি কোন সরকারি সহায়তা। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, মঙ্গলবার রাতে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যাবার পর ৪ দিনধরে বগীসহ ৩টি গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবারে রান্নাবান্না হয়নি। বাজার থেকে শুকনা খাবর কিনে খেতে হচ্ছে তাঁদের। মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্মও করতে পারছেনা। বলেশ্বর নদীর জোয়ারে পানির চাপে বুধবার থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দুই শতাধিক লোক বগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্দরবন দাখিল মাদরাসা ও দশঘর সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙ্গনে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয়ে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের এখনো সরকারি কোন সহায়তা দেয়া হয়নি।

ভাঙ্গন পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস দুপুরে বলেন, বগী বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। বগী থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার বাঁধের অন্তত ১০টি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে মাটির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মাটি এবং বালু জিও ব্যাগে ভরে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পানির চাপ কমলে সেখানে ফেলে স্ক্যাবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রিং বাঁধ দেওয়া হবে। পানিতে আমন এবং মৎস্য সেক্টরের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করে ক্ষতিপুরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন উপস্থিত ছিলেন।

উপকূলীয় বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) দায়িত্বরত প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত বলেন, জিও ব্যাগে বালু ও মাটি ভরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানির চাপ কমলে ওই বস্তা ফেলে পরবর্তীতে স্ক্যাবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রিং বাঁদ দেয়া হবে।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test