E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুষ্টিয়ায় প্রস্তুত ২৩৭ পূজা মন্ডপ

২০১৮ অক্টোবর ১৩ ১৬:১৭:১২
কুষ্টিয়ায় প্রস্তুত ২৩৭ পূজা মন্ডপ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আর মাত্র ক’দিন পর শারদীয় দূর্গোৎসব। এটি সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ উৎসব। উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার ২৩৭ টি পূজা মন্দির গুলোতে চলছে সাজ সাজ রব। প্রতিমা গুলোতে রং তুলির আচরে চলছে কনেকটা শেষ মুহুর্তের কাজ। 

এদিকে দুর্গা পূজা সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হওয়ায় ঘরে ঘরে চলছে কেনাকাটার ধুম। নতুন পোষাকে দেবীর আরাধনা করতে ব্যস্ত অনেকে নতুন পোষাক কিনতেও। শহরের অধিকাংশ মার্কেট গুলোতে বেশ ভীর লক্ষ করা গেছে। শহরের মন্দির গুলো ঘুরে দেখা গেছে, পূজা মন্দির গুলোতে চলছে সাজ সাজ রব।

প্রতিমা তৈরির কজের শেষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আলোকসজ্জার কাজ। বিগত বছরগুলোর মতো পূজা মন্ডপ ছাড়াও মন্ডপ সংলগ্ন সড়কে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, অতীতের চেয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়াও দুর্গাপূজা উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন যথেষ্ট নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। এবছর কুষ্টিয়া জেলায় ২৩৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, গত বারের চেয়ে এবার মন্দির সংখ্যা বেশি। তাই উৎযাপনটাও বেশি হবে বলে আশা করছি। এখন প্রতিমা তৈরী এবং প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের সাথেও বৈঠক হয়েছে। পূজা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন থেকে আমরা সার্বিক সহযোগীতা পাচ্ছি।

প্রতিমাশিল্পী সুকান্ত মালাকার জানান, প্রতিমা তৈরিতে মুলত মাটি, বাঁশ-খড়, দড়ি, লোহা, ধানের কুঁড়া, পাট, কাঠ, রঙ, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি-কাপড়ের প্রয়োজন হয়।

প্রতিমা গড়া শেষ হলে রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয় অবয়ব। প্রতিমা তৈরি করা অনেক কষ্টের।

তিনি আরও জানান, বছরের অন্যান্য সময় তেমন কাজ না থাকলেও এই সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তবে সময়ের সাথে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়লেও সে অনুযায়ি প্রতিমা তৈরির মজুরি বাড়েনি।

প্রতিমাশিল্পী নিরঞ্জন জানান, প্রতিমা তৈরিতে প্রচুর কাঁচাপণ্যের প্রয়োজন হয়। তবে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ায় এবার প্রতিমা তৈরিতে খরচ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিমা তৈরি শেষ হলে এরপর শুরু হবে যাবে সাজসজ্জার কাজ।

এদিকে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফত জানান, পূজা মন্দির গুলোতে পোষাকে ও সাদা পোষাকে প্রতিটি মন্দিরে নজরদারী থাকবে। মন্দির গুলোতে সার্বক্ষণিক আনসার থাকবে। এছাড়াও টহল টিম থাকবে। পুজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও সহযোগিতা করবেন। সব মিলিয়ে মন্দিরগুলোতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

(কেকে/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test