E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মৌলভীবাজারে চলছে শেষ মুহুর্তের সাজসজ্জা, প্রস্তুত ৯৯৬টি মন্ডপ

২০১৮ অক্টোবর ১৪ ১৭:৫০:৩৪
মৌলভীবাজারে চলছে শেষ মুহুর্তের সাজসজ্জা, প্রস্তুত ৯৯৬টি মন্ডপ

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : বছর ঘুরে আবার সমাগত শারদীয় দুর্গা উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে জেলার ৯৯৬ টি পূজা মন্ডপে। আগামীকাল সোমবার ১৫ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। জেলার বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে আলোকসজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো পূজা মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকা। শেষ সময়ে প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সাজসজ্জার কাজ নিয়ে। সব মিলে উৎসবে আমেজে সাজতে যাচ্ছে জেলা প্রতিটি পূজা মন্ডপ।  শেষ মুহুর্তে চলছে মন্ডপ সাজসজ্জা সহ প্রতিমায় রঙ এবং সজ্জার কাজ । 

জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির দেয়া তথ্য মতে এবছর মৌলভীবাজারে সর্বমোট ৯৯৬ টি মন্ডপে সর্বজনীন ৮৪২টি এবং ১৫৪টি মন্ডপে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুর্গাপূজা হবে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে রাজনগরে সার্বজনীন ৭৬টি মন্ডপ আর ব্যক্তিগত ৫৪টিতে বড়লেখায় সার্বজনীন ১৩৩টি আর ব্যক্তিগত ১৮টি, কুলাউড়ায় সার্বজনীন ১৯৪টি আর ব্যক্তিগত ২৩টি, জুড়ীতে সার্বজনীন ৬৫টি আর ব্যাক্তিগত ৩টি, মৌলভীবাজার সদরে সার্বজনীন ৮৪টি আর ব্যক্তিগত ২৩টি, শ্রীমঙ্গলে সার্বজনীন ১৫৪টি আর ব্যাক্তিগত ১৩টি, কমলগঞ্জে সার্বজনীন ১৩৬টি আর ব্যাক্তিগত ২০টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্টিত হবে।

মৌলভীবাজার জেলায় সব চেয়ে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হয় পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলে , এখানে নানা ডিজাইনে তৈরী হয় প্রতিমা। বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাশ জানান, আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। ইতোমধ্যে দুর্গাপূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি। নির্বিঘেœ যাতে শারদীয় দূর্গোৎসব পালিত হয় এই বিষয়ে আমরা পূজা উদযাপন পরিষদ কাজ করে যাচ্ছি।

তবে একক পুজার আকর্শনের দিক থেকে এগিয়ে কুলাউড়ার কাদিপুর দূর্গা বাড়ী এবং রাজনগরে পাচগাও দূর্গা বাড়ী। কুলাউড়া দুর্গাবাড়ীর মন্দির সিলেট বিভাগের মধ্যে অনতম বৃহৎ এবং সুন্দর হওায় এবং রাজনগে উপমহাদেশের একমাত্র লাল দুর্গা দেবীর পূজা হওয়াতে পূজার ৩ দিন এই দুই স্থানে এসে মিলিত হন সিলেট বিভাগের লাখো সনাতন ধর্মাবলম্বী। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এমনিতেই সবার পূজার দেখার পূর্নতা পায় শ্রীমঙ্গলে কারণ খুব কাছাকাছি অনেকগুলো মন্দির থাকায় দর্শনার্থীদের পূজা দেখতে সুবিধা হয় মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে।

জুড়ী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমূল্য চন্দ্র দাস জানান, নির্বিঘেœ পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে ৫০০ কেজি করে সাড়ে ৩২টন চা’ল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা সফল করার লক্ষ্যে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সব কিছু মিলে এই বছর পূজা উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায় মুন্না জানান, এ বছর দেবী পৃথিবীতে আসছেন ঘোড়ায় চড়ে আর ফিরে যাবেন পালকিতে চড়ে।” তবে লোকশ্রুতি আছে, “ঘোড়া দ্রুততার প্রতীক। অশ্ব শক্তি দেবী ঘোড়ায় চড়ে আসলে প্রকৃতি রুদ্র রুপ ধারণ করে। ঘুর্ণিঝড়, প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। পালকিতে চড়ে কৈলাস গমনে রোগব্যাধি, জরা, মৃত্যু নেমে আসবে।


মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল জানান , জেলায় শারদীয় দুর্গাপূজায় কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

(একে/এসপি/অক্টোবর ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test