E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে স্ত্রী হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবন্ধীর সংবাদ সম্মেলন 

২০১৮ অক্টোবর ১৪ ১৭:৫৫:৪২
টাঙ্গাইলে স্ত্রী হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবন্ধীর সংবাদ সম্মেলন 

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় স্ত্রী হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে তিন শিশু সন্তান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে শারিরিক প্রতিবন্ধি মীর ওসমান আলী। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রোববার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারটায় ওসমান তার সন্তান সিফাত(১০), সুরুজ (৮), রিপন (৫), হিতের ভাই নুরুল ইসলাম সহ এলাকার কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওসমান বলেন, তার বাড়ী সখীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের প্রতিমাবংকী গ্রামে। প্রথম স্ত্রী সাজেদা বেগম, ওই ঘরের ছেলে সোহেল রানা ওরফে শাজাহান, মেয়ে আসমা বেগম ও ছেলের বউ রুপা আক্তার মিলে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রেখা বেগমকে অমানষিকভাবে নির্যাতন করে মারাত্মকভাবে আহত করে। প্রায় দুইমাস চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

লাশের ময়না তদন্তে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মেডিকেল অফিসারের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ভিকটিম আঘাতজনিত কারনে মাংসপেশিতে পচন ধরায় রক্তে বিষক্রিয়া সৃষ্ট হওয়ায় ধীরে ধীরে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কিন্তু পুলিশ হত্যা মামলা গ্রহন করছেনা।

প্রতিবন্ধী ওসমান আরো বরেন স্ত্রীকে সুস্থ্য করতে প্রায় দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলে আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি একজন বৃদ্ধ ও পঙ্গু মানুষ। নিহত ওই স্ত্রী- ই আমার সংসারের হাল ধরেছিল। অবুঝ তিন সন্তান নিয়ে এখন আমি কোথায় দাড়াবো? আমি আপনাদের মাধ্যমে এই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ফাঁসির দাবী জানাই। আমার স্ত্রী চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই সখীপুর থানা পুলিশ তড়িঘরি করে মামলার অভিযোগপত্রের চার্জশীট দিয়ে দেয়। পুনঃ তদন্ত পূর্বক দঃবিঃ৩০২/২৪ ধারা সংযুক্ত করতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলে প্রার্থনায় ওসমান এজাহার করেন। সেইসাথে আসামীগনের জামিন বাতিলের আবেদন করেন।

এলাকার লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত বছর ২৮ নভেম্বও সন্ধ্যায় রেখাকে একা পেয়েসোহেল আসমা ও সাজেদা মিলে কিল, ঘুসি ও তলপেটে লাথি দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। রেখা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়। ওই দিনই স্বামী ওসমান ও প্রতিবেশীরা রেকাকে সখীপুর উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরদিন ২৯ নভেম্বর রেখার তলপেট ফুলে গেলেতাকে টাঙ্গাইল সদও হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসা দেয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে রেখাকে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দুইমাসপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রেখার স্বামী ওসমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুনঃ তদন্ত পূর্বক দঃবিঃ৩০২/২৪ ধারা সংযুক্ত কওে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন।

(আরকেপি/এসপি/অক্টোবর ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test