E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বিএনপির হেভি ওয়েট প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হায়দার মানুষের সেবা করতে চান

২০১৮ অক্টোবর ২৪ ১৫:৩৮:৪৩
বিএনপির হেভি ওয়েট প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হায়দার মানুষের সেবা করতে চান

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব দলের যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে চলছে কঠিন হিসাব নিকাশ। নির্বাচনী তফছিল ঘোষণা না হলেও সম্ভাব্য সব প্রার্থীরা নিজ নিজ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিষয়টি দলীয় হাই কমান্ডের নিকট তুলে ধরতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে কেউই পিছিয়ে নেই। যার যার কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছেন সবাই। নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির একাধকি সাম্ভাব্য প্রার্থী নানা ভাবে নিজেকে ও দলের প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে প্রচারনায় ব্যস্তি সময় কাটাচ্ছেন। এতে কেউ করছেন গণসংযোগ, পথসভা, করছেন উঠান বৈঠক, আবার কেউ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে নিজেকে মেলে ধরছেন। দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবী নেত্রকোনা-৩ আসনে বিএনপির বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। প্রত্যেকেই দলের মনোনয়ন পেতে মাঠে এবং কেন্দ্রে কাজ করছেন জোড়ালোভাবে। কিন্তু কে পাবেন মনোনয়ন তা এ মূহুর্তে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। 

তবে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবী এই আসনে অর্থনৈতিক ভাবে সংসম্পূর্ন সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আহমদ খান (এফ.সি.এ) বি.এন.পির একজন ক্লিন ইমেজের হেভি ওয়েট প্রার্থী। নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলে রয়েছে তার শক্ত অবস্থান। সকল মহলের একজন গ্রহণযোগ্য উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি তার নিজের যোগ্যতাকে দলের সঙ্গে যুক্ত করে মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চান। এ আশা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা, উঠানবৈঠক ও বিভিন্ন সভা সমাবেশ সহ বিশাল শো-ডাউন করেছেন।

দলের নিবেদিত প্রাণ হায়দার আহমেদ খান আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে চান। এজন্য চান দলের মনোনয়ন এবং সকলের দোয়া। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীর মতে হায়দার আহমদ খান উচ্চ শিক্ষিত সৎ এবং পরিচ্ছন্ন একজন সাদা মনের মানুষ। দলে তিনি কোন গ্রুপিং সৃষ্টি করেননি বলে দলীয় নেতাকর্মীদের অভিমত। একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে ওঠে আসা হায়দার আহমদ খানের ৪ ভাইয়ের মধ্যে ৪ জনই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টেন্সিতে অনার্স, ফাইনান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে মাষ্টার্স এবং সি.এ পাস করেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড এ্যাকাউনটেন্স অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ফেলো মেম্বার। কর্মজীবনে তুমি ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত টি এন্ড টি বোর্ডের এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর, ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রনালয়ের ফাইন্যান্সিয়াল এনালিস্ট, ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত উইলস গ্রæপের কন্ট্রোলার অব ফাইন্যান্স, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত লোটাস কামাল গ্রæপের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৯৩ সালে আহমদ খান এন্ড কোং নামে সিএ ফার্ম প্রতিষ্ঠা এবং ৩টি ১০০% রপ্তানীমূখী গার্মেন্টেস এর পরিচালক সহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

হায়দার আহমদ খান নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের জলøী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম লুৎফে আলী খান একজন বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ছিলেন। মা মরহুম লতিফেন্নেছা খানম একজন সমাজসেবিকা। ১৯৬৭ সাল থেকে ছাত্ররাজনীতি শুরু করলেও ২০০৩ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি.এন.পিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি নেত্রকোনা জেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সভাপতি।

১/১১ এর পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পক্ষে বিভিন্ন সভা সেমিনারে স্বক্রিয় অংশ নেন এবং সহায়ক সংগঠন (গ্রুপ)- ২০০৯ ( ম-৯) এর বর্তমানে ট্রেজারার। এছাড়া ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ এবং ২০১২-২০১৪ সাল পর্যন্ত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইনডাস্ট্রিজ (ভি.সি.সি.আই) এর ডাইরেক্টর ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিন্টেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বড় ভাই লুৎফে আহমদ খান অসীম দলপা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। মেঝভাই সাফায়েত আহমদ খান এডভোকেট স্বাধীনতা সংগ্রামে ১১ নং সেক্টরের আর্টিলারী কোম্পানী কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে সমাজতান্ত্রীক দল জেএসডি থেকে মনোনীত এমপি প্রার্থী ছিলেন। ছোট ভাই লতিফ আহমেদ খান অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। তার স্ত্রী মিসেস ওয়াহিদা নাসরিন বি.এ অনার্স এম.এ, বি.এড তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২ কণ্যা ও ১ পুত্র উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পথে। সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে ১৯৮৫ সালে নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের এবং সবার জন্য প্রাইমারি শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। গড়ে তুলেন নিজ মায়ের নামে লতিফেন্নেছা প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা এবং নেত্রকোনা সদরের মদনপুর ইউনিয়ন সহ ১৫টি ইউনিয়নে এডুকেশন ডেভলপমেন্ট এসোসিয়েশন (ইডিএ) মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও ছাত্রছাত্রীদের মেধার বিকাশে প্রতিবছর শত শত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, আকর্ষনীয় শিক্ষা সফর এবং রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পুরষ্কার প্রদান এবং প্রাইমারী শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষা দানের জন্য শিক্ষকদের মানোন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সৌদিআরব, কাতার, চীন, মালয়শিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন, ইটালী, স্পেন, কানাডা, নেপাল এবং ভারতে ভ্রমণ ও শিক্ষা এবং ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নেন। ২০১৪ সালে তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত কলাম নিয়ে “কালের অমীমাংসিত প্রশ্নাবলী” শীর্ষক বই প্রকাশ করেন।

হায়দার আহমেদ খান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, নিজের যোগ্যতাকে দলের সঙ্গে যুক্ত করে গণ মানুষের কল্যানে আত্ম নিয়োগ করতে চাই। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যদি থাকে ধানের শীষ প্রতীক মনোনয়ন দেয় সেই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে চান কাঙ্খিত বিজয় অর্জনে। তিনি চান, মানুষের খুব কাছে থেকে মানুষের সেবা করে সকল মহলের মুখে হাসি ফুটাতে।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test