E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই মানিক ভাইয়ের নৌকা চাই

২০১৮ অক্টোবর ২৫ ২৩:৫৪:৫৭
হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই মানিক ভাইয়ের নৌকা চাই

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : আগামী একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে তফছিল ঘোষনার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোটের মাঠে ভোটারদের মুখে মুখে ফিরছে নানা আলোচনা সমালোচনা। আওয়ামীলীগের প্রায় এক ডজন প্রার্থী এবার মাঠ ছেড়ে মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন নিজ নিজ কৌশলে। তবে মাঠ ছেড়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে অবস্থান করলেও একেক সম্ভাব্য প্রার্থীকে নিয়ে একেক রকমের দাবী তুলছেন তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

নেত্রকোনা-৩ কেন্দুয়া -আটপাড়া উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের পর থেকেই তৃণমূলের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোঃ সাইদুর রহমান মানিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

তারা দাবি করে বলছেন, হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই মানিক ভাইয়ের নৌকা চাই। সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ও মুক্ত চিন্তার একজন মানুষ হিসেবে সাইদুর রহমান মানিক যেমন দুই উপজেলায় ৭৯টি পূজা মন্ডপে দিয়েছেন তার ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতা তেমনি একই সময়ে মসজিদ মাদ্রাসায়ও অনুদান দিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন। তাছাড়া অর্ধশতাধিক পূজা মন্ডপে গিয়ে পূঁজা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সকল মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে মাতিয়ে তুলেছেন সবাইকে। তিনি যখন পূজা মন্ডপে গিয়েছেন, তখন কোন কোন পূজা মন্ডপে তাকে হিন্দু নর নারীরা সঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দিয়ে মনের আনন্দে হৃদয়ের গভীর ভালবাসা দিয়ে বরণ করেছেন। সাইদুর রহমান মানিকও এই ভালবাসার উত্তরে অভিনয় ভঙ্গিতে হাসিমুখে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তার আচার আচরন এবং হাসিমুখে ব্যবহারের জন্য সবাই বলছেন, হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই আমরা মানিক ভাইয়ের জন্য নৌকা চাই। প্রায় সব পূঁজা মন্ডপের সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ সাইদুর রহমান মানিকে ভালো ব্যবহারে মুগ্ধ ও আনন্দিত। তারা তাদের এই দাবী বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তুলে ধরেন।

আটপাড়া উপজেলার বানিজান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আটপাড়া উপজেলা সদর কালি মন্দির কমিটির সভাপতি উজ্জল দত্ত বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান মানিকের ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। তিনি আমাদের যেভাবে ভালবাসা দিয়ে কাছে টেনেছেন, এরকম একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি গণমানুষের নেতা হওয়া সাজে। তিনি এম.পি হলে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কল্যান হবে।

কেন্দুয়া হরি সভা দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি ডা. দিলীপ পোদ্দার বলেন, আমরা মন্দির কমিটির লোকজন সাইদুর রহমান মানিকের ব্যবহারে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছি। তিনি একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন।

রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের আমতলা সরকারবাড়ি দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি অজিত কুমার সরকার চন্দন বলেন, মানিক ভাই পূজাতে এসে আমাদেরকে যে আনন্দ দিয়েছেন তা ভুলার মত নয়। আমাদের স্মৃতিপটে তার আচরন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সাজিউড়া দেব মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি উৎপল বিশ্বাস জয়, সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ সরকার ও হরিসভা সংঘের সভাপতি সত্যেন্দ্র দেবনাথ, সাধারন সম্পাদক বিজয় মেম্বার বলেন, সাইদুর রহমান মানিক সাহেব দুটি অনুষ্ঠানে আমাদের মন্দিরে এসেছেন। আমাদের সঙ্গে প্রাণে প্রাণে মিশেছেন। তার ব্যবহার আমাদেরকে ঋণী করেছে।

তিনি তার ব্যবহারে প্রমাণ করেছেন, তিনি একজন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার মানুষ। তার মত যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচনে আসলে নৌকা নিয়ে নিশ্চিত জয় লাভ করবেন। কেন্দুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যান সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো: শাহজাহান মিয়া বলেন, হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই হয়ে মানিক সাহেব যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বানীকে বুকে ধারন করেছেন বলেই সম্ভব হয়েছে।

বলাইশিমুলের আতিকুর রহমান তালুকদার চুন্নু বলেন, সাইদুর রহমান মানিক এক দিকে যেমন মন্দিরের অনুদান দিচ্ছেন, পাশাপাশি মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান দিয়েও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তার মতো হাসিখুসি মানুষ আগামী সংসদ নির্বাচনের নৌকা প্রতীক পেলে ইনশাল্লাহ এম.পি নির্বাচিত হবেন। সকল মহলেই তার ব্যবহারের প্রশংসা ছড়িয়ে পরেছে। তার হাতেই নৌকা প্রতীক তুলে দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি করি।

কেন্দুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো: বজলুর রহমান এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বাঙালী ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল কদ্দুস খন্দকার লাল চান বলেন, আমরা যখন ৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ করেছি তখন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টানের মধ্যে কোন বিভেদ ছিলনা এখনও নাই, এর প্রকৃত উদাহরণ মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান মানিক। তিনি মন্দিরে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে যেভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন এভাবে অতিতে আর কোন নেতাকে করতে দেখিনি। প্রমাণ করেছেন তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। তার আচার ব্যবহারে বলা যায় হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই মানিক ভাইয়ের জন্য নৌকা চাই।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test