E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়া জড়িত ছিল’ 

২০১৮ অক্টোবর ২৭ ১৪:০৩:৪৪
‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়া জড়িত ছিল’ 

সিলেট প্রতিনিধি : ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে আমরা অনুরোধ করেছি।’

শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের শহীদ জগৎ জ্যোতি পাঠাগার মিলনাতনে ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভিযাত্রার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দেশব্যাপি প্রচারণার অংশ হিসেবে এক সভায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।’

৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা শাখার আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক বিচারপতি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে দেখা যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন ধরণের হামলা হয়ে থাকে সে দিকে খেলায় রাখতে হবে সবাইকে।’ জামায়াত শিবির মতাদর্শের কাউকে যাতে নির্বাচনের সময় দায়িত্ব দেয়া না হয় সে দিকে কড়া নজড় রাখতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধের দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতার ছেলে মেয়েরা বলেছে এই সব দন্ড নাকি তারা মানে না।’ এসব লোক যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর কোন ব্যত্যয় হলে বা জামায়াত নেতাদের সন্তানরা নির্বাচনে অংশ নিলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’ জামায়াতকে প্রতিহত না করলে আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে না। জামায়াত বা ইসলামী দলের কোন লোক যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে ব্যাপারে আদালত রায় দিয়েছেন।’

কুখ্যাত রাজাকার নিজামী সাঈদীর ছেলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য চেষ্ঠা করছে। সাঈদীর ছেলে কি ভাবে নির্বাচিত হয় তা আমরা সবাই জানি। তার পিতার মত পেশি শক্তি ও টাকা ব্যায় করে নির্বাচিত হয়েছে। জামায়াতকে পুর্ন:বাস করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের চর। আর না হলে মুক্তিযোদ্ধের চার বছর পর ৭৫ সালে খন্দকার মুশতাকের সাথে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করত না।’

বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়া জড়িত ছিল। একই পথে হেটেছে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া সে ক্ষমতায় এসে লাখো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা জামায়াত নেতা ও সাকা চৌধুরীর গাড়িতে লাগিয়েছে।

শামসুদ্দিন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করছিলেন। কিন্তু মুশতাক ও জিয়া এসে তা আবার চালু করে। জয় বাংলা শ্লোগানকে জিয়া মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি কারণ এই শ্লোগানের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযোদ্ধের মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। তার ছেলেও শেখ

শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেন্ড হামলা করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধের চেতনার মানুষকে নিয়ে জামায়তকে প্রতিহত করতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক কাজী মুকুল।’

এ সময় মুক্তিযোদ্ধ চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, কবি ইকবাল কাগজী, জেলা সিপিবির সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, সাংবাদিক আইনুল ইসলাম বাবলু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ইমদাদ রেজা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রুহুল তুহিন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য কল্লোল তালুকদার চপল, সংবাদিক শামস শামীম সহ জেলা একাত্তের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test