E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নেত্রকোনা-৩ : তৃণমূলে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি দুলালের, চান বিজয়ী হতে

২০১৮ অক্টোবর ২৭ ১৮:৪২:৫৮
নেত্রকোনা-৩ : তৃণমূলে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি দুলালের, চান বিজয়ী হতে

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নিজ নিজ কায়দায় নির্বাচনী এলাকায় করছেন গণসংযোগ, পথসভা ও শুভেচ্ছা বিনিময়। এদের মধ্যে নিজ দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাইরেও সাধারণ কৃষক শ্রমিক জনতা নিয়ে বিএনপির তৃণমূলের শক্ত ঘাটি রয়েছে মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞা দুলালের।

দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নেত্রকনো-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) নির্বাচনী এলাকায় তিনিই জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। সেই অবস্থানকে ধরে রেখে তৃণমূলের পুঁজিকে কাজে লাগিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে বিজয়ী হতে চান দুলাল।

বর্তমানে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং নেত্রকোনা জেলা বি.এন.পির সহ-সভাপতি ও কেন্দুয়া উপজেলা বি.এন.পির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। নেতাকর্মীরা জানান, বিগত ২০০২ সালে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞা দুলাল তার প্রতিদ্বন্দী উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সঙ্গে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন। এরপর থেকেই দলে নেতাকর্মী ও সমর্থকের সংখ্যা ক্রমশই বাড়তে থাকে। তিনি সবসময়ই নিজেকে মানুষের সেবায় জড়িয়ে রাখেন। এক কথায় বলা চলে যার নেশা ও পেশাই জনসেবা করা। উ

দারপন্থি এই নেতা কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক ও শুভেচ্ছা বিনিময় সহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে একটা ঘনিষ্ট যোগাযোগ করয়েছে দুলালের।

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা বর্তমান পৌরসভার মেয়র মো: আসাদুল হক ভূঞাকে তার মেধা যোগ্যতা ও নির্বাচনী কুটকৌশল ব্যবহার করে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক। এর কারণ হিসেবে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দাবী করেন, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দেলোয়ার হোসেন ভূঞা দুলাল নিজেকে জনসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখেছেন। এই জনসেবা করতে গিয়ে কখনো তিনি জনগণের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত ও অবাঞ্চিত ফলাফল পাননি। তিনি দুইবার কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৩ সালে নির্বাচিত হন কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র, একবার দায়িত্ব পালন করেন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের। বর্তমানেও তিনি কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে খুব কাছে থেকে তার সাধ্যমত এলাকার উন্নয়নমূল কাজে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন।

রাজনীতির বাইরে তিনি একজন শিক্ষানুরাগী খোলামেলা ব্যবহারের মানুষ। তিনি কেন্দুয়া সরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্য, সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, গন্ডা ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, কেন্দুয়া সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বৈশ্যপাট্টা মডেল একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে সততার স্বাক্ষর রেখেছেন। এছাড়া তিনি দিগদাইর আরামবাগ হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, কেন্দুয়া বাজার খাদ্য গুদাম সংলগ্ন জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা।

এলাকায় একজন অসাম্প্রদায়িক ও ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে তার একটা সুনাম রয়েছে। গত শারদীয় দূর্গা পূজায় উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে তিনি ৪০টি পূঁজা মন্ডপে প্রায় লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং অসহায় গরিব দুঃখি মানুষকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ভূঞা দুলাল তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দলের মনোনয়নের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। আশাকরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই মনোনয়ন নির্ধারন করা হবে। মনোনয়ন পেলে জনগন যদি সুষ্ঠু ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেক্ষেত্রে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ীর হওয়ার ক্ষেত্রে খুব আশাবাদী।

তার প্রিয় সহধর্মিনী মিসেস দিলারা আরজু সহজ সরল ভাষায় তার স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা করে বলেন, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আমি আমার স্বামীর রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও জনসেবা খুব কাছে থেকে সহযোগিতা করে আসছি। জীবনে তার চাওয়া পাওয়ার আর কিছুই নেই। তিনি সফল ব্যবসায়ী হিসেবে আর্থিক ভাবে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। জনসেবা করতেই তিনি বেশি ভালবাসেন। স্ত্রী হিসেবে আমি কাছে থেকে যতটুকু জানি এবং বুঝি, তিনি সারাক্ষনই জনগণ ও এলাকার কল্যানে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। সবচেয়ে আনন্দের কথা হলো, সেই সকাল থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে পরিশ্রম করেও কোনদিন ক্লান্ত হননি এবং কোন নেতাকর্মীর সঙ্গেও খারাপ আচরন করতেও শুনিনি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে দলের মনোনয়ন পান সে জন্য আমি পরম করুনাময় আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করি, যেন তিনি এম.পি নির্বাচিত হয়ে এলাকা তথা সব মানুষের আরো বেশি বেশি কল্যান করতে পারেন।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test