E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হচ্ছে, আরো ৬ বাহিনীর আত্মসমর্পণ কাল

২০১৮ অক্টোবর ৩১ ২২:৪৪:৫৮
সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হচ্ছে, আরো ৬ বাহিনীর আত্মসমর্পণ কাল

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : আরো ৬টি বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বনদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হবার ঘোষণা দেবেন। 

এসময়ে বাগেরহাট প্রান্তে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ কয়েকজন মন্ত্রী- এমপিসহ এলিটফোর্স র‌্যাবের র্শীষ কর্মকর্তারা উপস্থিতি থাকবেন। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হবার ঘোষনা অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের সর্বশেষ দন্ডমুন্ডের কর্তা ৬টি বাহিনী প্রধানসহ ৫৪ জন বনদস্যু ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ হাজর ৩৫১ রাউন্ড গোলাবারুদ স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে এসব বনদস্যুরা। আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু বাহিনীগুলো হলো, সত্তার বাহিনী, শরিফ বাহিনী, মুকুল-সিদ্দিক বাহিনী, আল-আমিন বাহিনী, আনারুল বাহিনী ও তৈয়ব বাহিনী। অনুষ্ঠানে ইতিপূর্বে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের ৯টি বনদস্যু বাহিনীর ৮৪ জন সদস্যে হাতে ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হবে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এলিটফোর্স র‌্যাবের তৎপরতায় ২০১৫ সালের ৩১ মে প্রথম বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ফুয়েল জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে তার ৯ সহযোগিসহ দুর্র্ধষ বনদস্যু ‘মাস্টার বাহিনী’ প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর পর্যায়ত্রেমে মানজার বাহিনী প্রধান মানজার সরদার, মজিদ বাহিনী প্রধান তাকবির বাগচী মজিদ, বড় ভাই বাহিনী প্রধান আবদুল ওয়াহেদ মোল্লা, ভাই ভাই বাহিনী প্রধান মো. ফারুক মোড়ল, সুমন বাহিনী প্রধান জামাল শরিফ সুমন, দাদা ভাই বাহিনী প্রধান রাজন, হান্নান বাহিনী প্রধান হান্নান, আমির বাহিনী প্রধান আমি আলী, মুন্না বাহিনী প্রধান মুন্না, ছোট শামছু বাহিনী প্রধান শামসুর রহমান, মানজু বাহিনী প্রধান মো. মানজু সরদার ও সূর্য বাহিনী প্রধান সূর্যসহ ২৯টি বনদস্যু বাহিনীর ২৭৪ সদস্য ৪০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এসব বনদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণের পর সুন্দরবনের বাতাসে নেই বারুদের গন্ধ। শোনা যায়না গুলির শব্দ।

আজকে সর্বশেষ ৬টি বনদস্যু বহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার পর ম্যানগ্রোভ এই বনে বইবে শান্তির সুবাতাস। পড়ছে না কোন লাশ। ইতিমধ্যেই গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বনদস্যুদের সব ঘাঁটি। বনদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড এই বনের জীববৈচিত্র্য। জেলে-বনজীবীদের মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণ বাণিজ্য এবং দেশী-বিদেশি চোরাকারবারীদের চাহিদা মতো হরিণ, বাঘ-কুমির শিকার ও পাচার প্রায় বন্ধ হবে। পৃথিবীর বৃহত্তম লবণাক্ত জলাভূমির হিংস্র রয়েল বেঙ্গল টাইগার- কুমির ও কিংকোবরাও হাফছেড়ে বাচঁবে।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ৩১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test