E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চুয়াডাঙ্গায় শীতের আগমনে অলিতে-গলিতে ভাপাপিঠা তৈরির ধুম

২০১৮ নভেম্বর ০৩ ১৬:৫৬:৪১
চুয়াডাঙ্গায় শীতের আগমনে অলিতে-গলিতে ভাপাপিঠা তৈরির ধুম

তৌহিদ তুহিন, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় শীতের শুরতেই ভাপাপিঠা তৈরির ধুম পড়েছে। সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাঁপা পিঠার গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় শহরের বিভিন্ন এলাকাতেই শীতের আগমনি বার্তায় ‘শীতের পিঠা’ বিক্রির ধুম পড়েছে। শীত এলেই এক শ্রেনীর মৌসুমি শীতের পিঠা ব্যবসায়িরা সকাল-বিকাল এবং গভীর রাত পর্যন্ত এ ব্যবসায় ব্যস্ত সময় কাটান।

চুয়াডাঙ্গা শহরসহ জেলার প্রতিটা গ্রাম-শহর, অলি-গলি, রাস্তার মোড়ে সবখানেই চলছে ঐতিহ্যবাহী এই পিঠা উৎসব শুর হয়েছে। এই পিঠার স্বাদে ক্রেতারা মন রাঙালেও, এটিই এখন এখানকার নিম্নআয়ের অনেক মানুষের উপার্জনের হাতিয়ার। কুয়াশা-ঢাকা সকালে এমন গরম গরম ভাপাপিঠার মজাই আলাদা। একদিকে ভাপাপিঠার স্বাদ গ্রহণ, অন্যদিকে চুলার আগুন আর জলীয়বাষ্পের উত্তাপ যেনো চাঙ্গা করে দেয় দেহ মন। জেলার প্রতিটা অঞ্চনেই সর্বত্রই এখন এই পিঠা তৈরি ও বেচাকেনার ধুম পড়েছে। পিঠা প্রেমিক মানুষ শীতের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে ফুটপাতের এসব পিঠার দোকানে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাওয়াকে রেওয়াজে পরিণত করেছেন।

অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। তবে শ্রমজীবী, রিক্সা চালাক, ড্রাইভার, শ্রমিকসহ অভিজাত শ্রেণী লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার শীতের পিঠা। ব্যবসায়িরা বেকারত্ব দুরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তারা লালন করছেন দেশীয় এ সংস্কৃতি।

পাশ্চাত্যের আধুনিকতায় গা- ভাসিয়ে শহুরে লোকজন ফিজা, কেক, মোগলাইসহ বিভিন্ন তৈলাক্ত ও ক্ষতিকর খাবারের বদলে দেশের চিরচেনা চালের গুঁড়া, আটা, ময়দা, নারকেল ও গুড়ের তৈরী পিঠা ব্যবসা এখন জমজমাট। চালের গুঁড়ার সাথে আটা বা ময়দা মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে ভাঁপা পিঠার মত দেশীয় জাতের পিঠা।

ছোট-ছোট আটটি চুলা দিয়ে কয়েল লাখড়ী পুড়িয়ে তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা তৈরী ও বিক্রি করে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্ত্বর, বেলগাছি রেলগেট, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্টমোড়, বড়বাজার, শ্যাকড়াতলার মোড়, একাডেমির মোড়, কেদারগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন ভাপা পিঠার দোকানে সকাল-সন্ধ্যা হলেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে। পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিলম্ব হলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মান-অভিমান ও বাক-বিতন্ডা হলেও পিঠা সংগ্রহে পিছপা হচ্ছেন না ক্রেতারা।

এক পিঠা ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘ ১০ বছর থেকে এ ব্যবসা চালাচ্ছেন। গরমে তিনি বিভিন্ন ব্রান্ডের মহিলাদের কসমেটিকস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীত মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা বিক্রি করে যাচ্ছেন। তার হাতের তৈরি পিঠা ক্রেতারাও বেশ পছন্দ ও আগ্রহভরে গ্রহণ করছেন। প্রত্যকদিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রির করে লভ্যাংশ থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে তার পরিবার।

(টিটি/এসপি/নভেম্বর ০৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test