E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় ডাকাতির রহস্য উৎঘাটন, ৭ ডাকাত গ্রেফতার

২০১৮ নভেম্বর ০৫ ১৮:০৬:৫৫
কাপাসিয়ায় ডাকাতির রহস্য উৎঘাটন, ৭ ডাকাত গ্রেফতার

সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ভূবনেরচালা এলাকায় ঢাকা- কাপাসিয়া- কিশোরগঞ্জ মহা-সড়কে গরু ভর্তি পিকাপ দুর্ধর্ষ ডাকাতির রহস্য উম্মোচিত হয়েছে। ফিল্মিষ্টাইলে ডাকাতির এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ঘটনার পর  মামলা হয় কাপাসিয়া থানায়। শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় থানার পুলিশ পুরদির্শক (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খানকে।  ঘটনার প্রায় তিন মাস পর রহস্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হন তিনি। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ ডাকাতকে। উদ্ধার করা হয়েছে পিকাপ সহ লুন্ঠিত মালামাল।

সোমবার কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এসব তথ্য জানান, তিনি জানান গত ১৯ আগস্ট রাতে ওই সড়কে ডাকাতরা অন্য একটি পিকআপ দিয়ে ৪টি কোরবানী গরু ভর্তি একটি পিকআপ এর গতিরোধ করে। পরে গাড়ির ড্রাইভারসহ ২ জন গরু ব্যাবসায়ীর হাত-পা-মুখ বেঁধে মারধর করে নগদ ৮৫ হাজার টাকা, ২ টি মোবাইল, ৪ গরুসহ পিকআপ ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। পরদিন কাপাসিয়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা নেয়া হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হয় ইন্সপেক্টর অপারেশন মনিরুজ্জামান খানকে। ঘটনার রহস্য উৎঘাটিত হওয়াতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবেনা বলে আমাদের প্রত্যাশা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকতা কাপাসিয়া থানার পুলিশ পুরদির্শক (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খান জানান, মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে আধুনিক তথ্য প্রযোক্তি ব্যাবহরের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করি। জানতে পারি ঘটনার পর পরই ডাকাতরা পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে দেশের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এ ঘটনার পর দেশের রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, সাভার, আশুলিয়া, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গে গত ১৫ দিন অভিযান চালানো হয়। প্রথমে ১০ই অক্টোবর বাজিতপুর এলাকা থেকে ডাকাতি হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও এক ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হই। তারপর গত ২ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ ডাকাতকে। তাদের স্বীকারোক্তিতে লুন্ঠিত পিকআপ ও মালামাল উদ্ধার করা হয়। ২ জনকে গত শনিবার কালিয়াকৈর থানার তেলির চালা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি একজন হাজতে থাকায় তাকে শোন এরেষ্ট দেখানো হয়েছে।
গ্রে

ফতারকৃত ডাকাতরা হলো- লালমনিরহাট জেলার রেজাউল (৪৫), গাইবন্ধা জেলার ফিরোজ (২৪) সুমন@ শামিম @ ধুনদুল (১৮) ও রানা @ আনোয়ার (২০), রংপুর জেলার সাবু @ এরশাদ (২৬), কিশোরগঞ্জ জেলার ফারুক (৩৫) এবং সেলিনা (৪০)।

এদের মধ্যে ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে গাজীপুর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী দিয়েছে। এরা প্রত্যেকই একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি, কারো কারো বিরুদ্বে ১০ থেকে ১২টির অধিক মামলা রয়েছে।

(এসকেডি/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test