E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুক্তিযোদ্ধা মানিক নৌকা পেলেই আ.লীগে কোন বিভেদ থাকবে না

২০১৮ নভেম্বর ০৬ ০০:৫৯:৩২
মুক্তিযোদ্ধা মানিক নৌকা পেলেই আ.লীগে কোন বিভেদ থাকবে না

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : আগামী একাদশ নির্বাচনের তফছিল ঘোষনার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সাম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠছে। নিজ নিজ কৌশলে কেউই পিছিয়ে নেই। তবে কার ভাগ্যে নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া -কেন্দুয়া) নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক জুটে তা এই মুহুর্তে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। সব প্রার্থীরাই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আশ্বস্ত করছেন নৌকা প্রতীক তিনিই পাবেন। আটপাড়া-কেন্দুয়া নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মুখে মুখে এখন একটা কথাই ফিরছে যিনি সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য একজন প্রার্থী তিনিই নৌকা প্রতীক পেলে আগামী নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত।

তৃণমূলের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, তাতীঁলীগ, যুব মহিলালীগ ও প্রজন্মলীগের পদপদবীদারী নেতাকর্মীদের বাইরে যারা আওয়ামীলীগের প্রাণশক্তি, যারা কোন প্রভাব ছাড়াই প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রার্থীকে বিজয়ী করে, সেই কৃষক শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মো: আব্দুল হামিদের স্নেহধন্য ও অতি কাছের মানুষ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছ থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০১৭ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির যিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন সেই মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিকনেত্রকোনা-৩ আসনে নৌকা প্রতীক পেলেই আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকবে না।

আটপাড়া বানিয়াজান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক উজ্জ্বল দত্ত বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান মানিক সকল মহলের একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। মন্দির, মসজিদ, মাদ্রাসা ও গরিব দু:খি মানুষের সেবায় তিনি যেভাবে কথা দিচ্ছেন, সেভাবেই আর্থিক সহযোগিতাও করছেন। তার কাছে হিন্দু মুসলমান, ধর্ম বর্ণের কোন বিভেদ নেই।

তেলিগাতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মঞ্জু মিয়া বলেন, মানিক সাহেব এক দেড় বছরেই কৃষক, শ্রমিক, জেলে, ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি সহ তৃণমূলের অতি সাধারন ভোটারদের হৃদয়ে জায়গা দখল করেছেন। তাদের সাথে প্রাণ খুলে হাসি মুখে কথা বলেছেন। এই তৃণমূলের সব মানুষ এখন একটা কথাই বলে, শেখ হাসিনা যেমন দেশের সব মানুষকে ভালোবাসেন তেমনি মানিক সাহেব সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে ভালবাসেন।

গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, সাইদুর রহমান মানিক শুধু নেতাদের নেতা নন, সাধারন জনগণের নেতা। তিনি বলেন, এদেশের সাধারন জনগনের মধ্যে কোন ভেজাল নেই কোন বিভেদ নেই তারা এত রাজনীতি বুঝে না। তারা নির্বাচন এলে বঙ্গবন্ধুর নৌকার ভোট দেয়। আর তারা মূল্যায়ন করে যে প্রার্থী বা ব্যক্তি সাধারন মানুষের উপকার করে এবং প্রাণ খুলে কথা বলে। এসব বিচারে মুক্তিযোদ্ধা মানিক সকলের কাছেই একজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থী।

নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাইদুর রহমান মানিক শেখ হাসিনার একজন আদর্শ কর্মী, তিনি হাসিমুখে সব মানুষের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করেন। তার ব্যবহারে সকল মানুষ সন্তুষ্ট। কী হিন্দু, কী মুসলমান তার মধ্যে কোন পার্থক্য দেখেন না তিনি। তিনি নৌকা প্রতীক পেলে আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে হাসি ফুটবে।

মাসকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভপতি আব্দুর রহমান খান পাঠান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সাইদুর রহমান মানিক সাহেব একজন ভাল মানুষ। তিনি সব মানুষের সঙ্গে ভাল আচরণ করেন।

মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো: বজলুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মানিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নিকট আমাদের দাবী একটাই তিনি যেন মুক্তিযোদ্ধা মানিকের হাতেই নৌকা তুলে দেন। নৌকা মানিক পেলেই শুধু মুক্তিযোদ্ধা নয়, সব শ্রেণিপেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে। কারো মনে কোন দ্বন্দ থাকবে না।

বলাইশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান তালুকদার চুন্নু বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখলেই বুঝা যায় মুক্তিযোদ্ধা মানিকের কী জনপ্রিয়তা। সাধারন কৃষক শ্রমিক, জেলে, মুচি, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত সহ সব মানুষের কাছে সাইদুর রহমান মানিকের নামটি খুব প্রিয় ও পছন্দের।

সবাই বলেন, নৌকা মানিক পেলেই আমরা হাসতে হাসতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিব। একই ভাবে কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলার একটি পৌরসভা সহ ২১টি ইউনিয়নের তৃণমূলের হাজার হাজার সাধারন নেতাকর্মীদের প্রাণের কথা, মনের কথা একটাই মুক্তিযোদ্ধা মো: সাইদুর রহমান মানিক তাদের পছন্দের প্রার্থী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারন করে তিনি সাধারন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন।

নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে এসে একজন রিকসা শ্রমিক, একজন টেম্পু শ্রমিক এবং একজন মুচির সঙ্গেও হাত মিলিয়ে কথা বলেন, সাইদুর রহমান মানিক এ দাবী করেন, কুমরুড়ার সজল চক্রবর্তী ও উজ্জল সরকার। তাদের মতে মানিক নৌকা পেলেই সকল শ্রেণি পেশার মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিবে।

আশুজিয়ার পল্লী চিকিৎসক ফজলুল হক বলেন, এক বছরে সাইদুর রহমান মানিক নির্বাচনী মাঠে এসে নৌকার গণজাগরণ সৃষ্টি করেছেন, তিনি সকলের কাছেই একজন পছন্দের ব্যক্তি হিসেবে ইতিমধ্যে তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেমন, হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মবর্ণের লোকদের ভালোবাসেন সাইদুর রহমান মানিকও সকলকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে ভালোবাসেন এবং গরিব দুখি মানুষ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তার ব্যক্তিগত সাধ্যমত অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমরা চাই নৌকা প্রতীক মানিকের জন্য।

রোয়াইলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, মানুষের কাছে গেলেই সাধারন মানুষের কথা বুঝা যায়। সাধারণ মানুষ আগামী নির্বাচনে সাইদুর রহমান মানিক কে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।

তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক মানিক পেলেই আওয়ামীলীগে কোন বিভেদ, গ্রুপিং থাকবে না। কারণ তিনি মাঠে এসে কোন গ্রুপিং সৃষ্টির চেষ্ঠাও করেন নি। নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারন মানুষকে নিয়েই তিনি পথ চলেছেন তাই সব মানুষ তার ব্যবহারে খুবই খুশি। আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার অন্তর আত্মার বিচারে নৌকা প্রতীক অবশেষে মানিকের হাতেই তুলে দেবেন।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test