ধামরাই দুই শতাধিক মন্দিরে কালী পূজা ও দীপাবলী উৎসব অনুষ্ঠিত

ধামরাই প্রতিনিধি : প্রয়াত অভিভাবক ও মৃত-স্বজনদের মঙ্গল কামনায় ধামরাই পৌর মাশশ্মানে ব্যাপক আয়োজনে দীপাবলী উৎসবে প্রদীপ প্রজজ্বলন ও প্রার্থনায় অংশ নেন হাজারো নারী-পূরুষ।অংশ গ্রনকারী স্বজনদের এই শশ্মানেই মৃত্যুর পর দাহ করা হয়েছে।

প্রাণ গোপাল পাল বলেন, তার মা ভানু মতি ও বাবা শচীন্দ্র পালকে ১২ বর আগে মৃত্যুরে পর এই শশ্মানে দাহ করা হয়েছে। তিনি এসেছেন প্রমীপ জ্বালিয়ে দীপাবলী পুজা উৎসবে মাতা পিতার আত্মার শান্তি কামনায়।

নন্দ গোপাল সেন বলেন, তিনিও একই আশায় মহা শম্মানে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাতে এসেছেন প্রয়াত পিতা বমেশ সেন ও মাতা গোলাপী সেন সহ পরিবারের প্রয়াত সকলের আত্মার শান্তি পায় এজন্যে।

পাঠানটোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুরজনি বৈরাগী বলেন পরলোকে যারা চলে গেছেন তাদের ও দেশের সকলে মঙ্গল কামনায় মহা শশ্মানে বাতি জ্বালিয়ে মঙ্গল প্রার্থনা করেছি বলেন।

বুলবুল ললিতকলা একাডেমী ঢাকার ছাত্রী শবরী মজুমদার বলেন বাবা নেই তার আত্মার শান্তি কামনায় শশ্মানে প্রদীপ জ্বালিয়ে স্মরন করেন তিনি যেন স্বর্গবাসী হয় ।

ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি বারের মতো এবারো শান্তিপূর্ন ভাবে দুই শতাধিক মন্দিরে কালী (শ্যামা)পূজা ও দীপাবলী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সব চেয়ে বড় আয়োজনটি ছিল ধামরাই পৌর মহাশশ্মানে।বুধবার রাতে এই পৌর মহা শশ্মানে আলোচনা সভা ও কবি জসিম উদ্দিন রচিত সাগর ভাসা নাটক মঞ্চ হয়।

ধামরই পৌর মহা শশ্মান কমিটির সভাপতি প্রান গোপাল পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধামরাইয়ের পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবীর মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা, ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোহাদ্দেজ হোসেন। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ১ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর আরিফ হোসেন,ধামরাই পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন, ধামরাই পৌর মহা শশ্মান কমিটির সম্পাদক অশোক কুমার পাল, দুলাল সরকার প্রমুখ।

প্রতিটি মন্ডপে রাতে আলোক-সজ্জা করেছে মন্দিরের পক্ষ থেকে ।মঙ্গলবার গভীর রাতে পূজার্চনা সম্পন্ন হয়।

ভক্তরা মহাশশ্মানে মোমবাতি, ধূপ কাঠি ,জ্বালিয়ে বাতাসা মিষ্ঠি বিলিয়েছে পিতা মাতা ও প্রয়াত ব্যাক্তিদের আত্মার মঙ্গল প্রার্থনায় ব্রতী হয়। এছাড়াও প্রতিটি গৃহে ভবনে দেওয়ালে দোকানে মোম বাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।আলোক সজ্জা করা হয় প্রতিটি মন্দিরে।

এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি গৃহে বংশের প্রয়াত সকলের মঙ্গল কামনায় বাতি জ্বালিয়েছে। শিশুরা ফুটিয়েছে বাজি ।

এর মধ্যে শ্যামা পূজা দীপাবলী উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের ঢল নামে মহা শশ্মান ও মন্দির গুলোতে। তবে নিরাপত্তা রক্ষায় উৎসব স্থল গুলিতে পুলিশ সদস্যদের প্রহড়া ছিল। শান্তিপূর্ন ভাবেই কালী বা শ্যামা পূজা উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।

(ডিসিপি/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০১৮)