E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মদনে গৃহ পরিচারিকা বুদ্ধী প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা

২০১৮ নভেম্বর ১২ ১৭:১৪:২৫
মদনে গৃহ পরিচারিকা বুদ্ধী প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলার চন্দ্রতলা গ্রামের ভিক্ষুক বাক-প্রতিবন্ধী এখলাছ মিয়ার নাবালিকা মেয়ে গৃহ পরিচারিকা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রুমা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার মা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে এফ আই আর করার অনুমতি দিয়েছে বিজ্ঞ বিচারক। 

এ ব্যাপারে সোমবার সরজমিনে গেলে ভিকটিম রুমা আক্তারের মা নার্গিস আক্তার জানান, আমার মেয়েটিকে শিশুকাল থেকে মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতে নিয়ে যায়। ৫ বছর থাকার পর গত রমজান মাসের আগে আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি এবং কেন্দুয়া উপজেলার আব্দুস সালামের মেয়ে শিক্ষিকা দিপা আক্তারের বাসায় কাজ করতে দেই। তার শারীরিক অসুস্থ্যতা দেখা দেওয়ায় বাসার মালিক আব্দুস সালাম রুমাকে কেন্দুয়া মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে সে ২১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে আমাকে জানায় এবং ডাক্তারি রির্পোট দেন।

এরপরেই আমার মেয়েকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসি। আমার মেয়ের কথা অনুযায়ী আগের বাসার মালিক ফারুকের ছেলে রিজন মিয়া এ ঘটনা ঘটিয়েছে বললে মোবাইল ফোনে তাদেরকে বিষয়টি অবগত করি। তারা আমাকে টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু আমি গরীব মানুষ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এ মেয়েটির দায়িত্ব কে নেবে ? তাই আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় গত ৪ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে রিজন, তার পিতা ফারুক মিয়া ও মাতা হেনা আক্তারকে আসামি করে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাচত দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেছি।

ভিকটিম রুমা আক্তার জানায়, আমাকে রিজন প্রায় রাতেই তার রুমে নিয়ে কু-কর্ম করত। আমার পেটের শিশু রিজনের। আমি তার সাথে ঘর সংসার করতে চাই।

এ ব্যাপারে ছেলের মা হেনা আক্তার জানান, গরীব এ মেয়েটিকে খুব আদরের সাথে লালন -পালন করেছি। গত চৈত্র মাসে বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তার মা নার্গিস আক্তার রুমাকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে যায়। দীর্ঘ ৮ মাস পর মোবাইল ফোনে আমাদেরকে জানায় তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। আমার ছোট ছেলে দাখিল পরীক্ষার্থী রিজনকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করছে। এটি ষড়যন্ত্র মূলক। তবে বিষয়টি শোনার পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য কিছু টাকা দিতে বলে ছিলাম। কিন্তু তারা এখন টাকার বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রচার করছে।

পলাতক আসামী রিজন মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। আমাকে এ ফাঁদে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনা উদঘাটন করার জন্য ডিএন এ টেস্টের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীকে শাস্তির আওতায় আনার আহবান জানাই।

মামলার আইনজীবি হায়দার মিয়া জানান, আবেদনটি এফ আই আর করার জন্য মোহনগঞ্জ থানায় পাঠানোর নির্দেশ হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারে এ আদেশ হওয়ায় কাগজপত্র এখনও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শওকত আলী জানান, অন্তঃসত্ত্বার মামলার কোর্টের কাগজপত্র সোমবার পর্যন্ত থানায় পৌঁছেনি। কাগজপত্র আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএমএ/এসপি/নভেম্বর ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test