E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হরিণাকুন্ডুতে খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত গাছীরা 

২০১৮ নভেম্বর ১৪ ১৮:১৯:৪০
হরিণাকুন্ডুতে খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত গাছীরা 

হরিণাকুন্ডু প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার গাছিরা খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছে। 

বিভিন্ন গ্রামের গাছিদের সাথে মত বিনিময় করে জানা যায় একাটি খেজুর গাছ থেকে রস পেতে হলে প্রায় চল্লিশ দিন বিভিন্ন পর্যায়ের পরিচর্যা করতে হয়, তারপর রস আহরণের পালা।

তাহেরহুদা গ্রামের কাশেম, মান্দারতলা গ্রামের আকুল আলী, শ্রীপুর গ্রামের খাকচার গাছি জামান কার্তিক মাসের শুরুতে গাছ ঝোড়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকান্ড শুরু হয় চৈত্র মাস পর্যন্ত আমরা রস আহরণ করতে পারি।

প্রথম পর্যায়ে গাছ ঝোড়া হয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে দশ দিন পর চাচ দেওয়া হয়, তৃতীয় পর্যায়ে আরও দশদিন পর নলীমারা বা বাঁশের কাঠি পোতা হয়, চতুর্থ পর্যায়ে দশ থেকে বারদিন পর ফুল চাচ দেওয়া হয় তখন গাছ থেকে যে রস আসে তাকে বেগোর রস বলে এরপর দুই তিন বার চাচ দেওয়ার পর যে রস আসে তাকে মোচার রস বলে এই রস খেতে খুব স্বুসাধু গাছিরা গাছকাটা কাজে ব্যবহার করে গাছি দা বা ছোল এই ধারালো অস্ত্রটি রাখার জন্য বাঁশের চটা দিয়ে তৈরি পাত্রটির নাম দা খাচি গাছিরা মাজা ও গাছের সাথে বেড় দিয়ে আটকানো মোটা দড়িকে বলে গাছদড়া যেটা দ্বারা তারা গাছে ঝুলে থেকে গাছে চাচ দেয়।

খেজুরের রস প্রধানত চার প্রকারঃ জিড়েন রস, সাঁজ বা সন্ধ্যা রস, বাসি রস বা ভোর বেলার রস এবং উলারস। সাজরস খেতে খুব স্বুসাধু হয় সাধারণত গ্রাম ও শহরের মানুষ শখ করে সন্ধ্যায় এইরস খায় বাঁশিরস দিয়ে সাধারণত পিঠা ভেজানো, নলীনি গুড়, পাটালি তৈরী কওে গাছিরা এবং উলারস থেকে চিটা গুড়, ঝোল গুড় ও গ্যাদোর পাটালি তৈরি করে বাজার জাত করা হয় যাদিয়ে মা চাচীরা মোয়া মুড়কি সহ কুলের আচার ও গবাদি পশুর ঘাসের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।

(এস/এসপি/নভেম্বর ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test