E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাইবান্ধা-৪ 

ফারুক হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ৩১ জানুয়ারি

২০১৮ নভেম্বর ২২ ১৭:২৪:৪৩
ফারুক হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ৩১ জানুয়ারি

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় বাদি পক্ষের তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম আগামি ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার আদালত কর্তৃক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সে অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এমপি রানাকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে আনা হয়। পরে ১১টা ১৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সাক্ষী খালেকুজ্জামান, সুরুজ্জামান ও মির্জা রানা সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য হাজিরা প্রদান করেন এবং তাদের সাক্ষ্য শেষ করে।

পরে মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে এই তিনজন সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত করেন। পরে বিচারক আগামি ৩১ জানুয়ারি এ মামলার অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করেন। এ তিন সাক্ষীসহ এ পর্যন্ত আদালতে মোট ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হল।

প্রকাশ, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা বিগত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
উলেøখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্তভার গ্রহন করে। গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

(আরকেপি/এসপি/নভেম্বর ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test