E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস করে জাসদের নারী নেত্রী উধাও!

২০১৮ নভেম্বর ২৩ ১৮:২১:২১
অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস করে জাসদের নারী নেত্রী উধাও!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : সিনথিয়া হক শান্তা। সে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের জাসদের নারী নেত্রী। গত দুইদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ নিয়ে জেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। সিনথিয়া হক শান্তা (২৬) ভেড়ামারা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জাসদ নারীজোটের সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ৮ বছর আগে ভেড়ামারা পৌরসভার কিলিক মোড় এলাকার সিনথিয়া হক শান্তার সঙ্গে একই এলাকার মনোয়ার হোসেন মিঠুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

প্রেমের সুত্র ধরে তারা দুইজন পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। দুই পরিবারের লোকজন প্রথম দফায় এ বিয়ে না মানলেও কিছুদিন পর মেনে নেন। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কোলজুড়ে এসেছিল এক শিশু কন্যা।

সম্প্রতি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড জাসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান শান্তা। নেত্রী হওয়ার পর ভেড়ামারা পৌরসভার জাসদের আহ্বায়ক প্রত্যাশা শহীদের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে শান্তার।
পাশাপাশি দুইজনের অন্তরঙ্গ মুর্হুতের ভিডিও নিজের মোবাইলে ধারণ করেন এই নেত্রী। মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি নিজের অজান্তে কয়েকদিন আগে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শান্তার এমন খবর শুনে মিঠুন তাকে তালাক দেন। তাকে তালাক দিয়ে দেড় মাস আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একটি গ্রামে আবারও বিয়ে করেন মিঠুন।

সবকিছু ভুলে সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মিঠুন। কিন্তু শান্তা ও মিঠুনের সেই পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগায় কাউকে কিছু না জানিয়ে আবারও দুইজন পালিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

নারীজোটের নেত্রী সিনথিয়া হক শান্তার বাবা সামসুল হক শান্তার উধাও হওয়ার ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, কোথায় গেছে আমি জানি না। এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় জিডি করেছি আমি। এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।

এদিকে নিখোঁজ সিনথিয়া হক শান্তার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার সাবেক স্বামী মনোয়ার হোসেন মিঠুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাদের দুইজনের মোবাইল বন্ধ রয়েছে।

ভেড়ামারা পৌরসভার জাসদের আহ্বায়ক প্রত্যাশা শহীদের সঙ্গে শান্তার পরকীয়া সম্পর্কের সত্যতা জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শামীম বলেন, এমন ঘটনায় কেউ থানায় জিডি করেনি। কেউ যদি এ বিষয়ে জিডি করার কথা বলে থাকে সেটি মিথ্যা।

জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন বলেন, এমন ঘটনা আমি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(কেকে/এসপি/নভেম্বর ২৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test