E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

২০১৮ নভেম্বর ৩০ ১৪:৩৬:১৯
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত রোগী জাহা বক্স মল্ডল (৪৫) মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মানিকদিহি গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে। জাহা বক্স গত ২০ নভেম্বর গরুর মাংশ খাওয়ার পর এ রোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভতির পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হয়েছে জাহা বক্স অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে। এ জন্য তার গ্রামে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছে সিভিল সার্জন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির জানান, জাহা বক্স গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই আমরা তার রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌছে। বিকালে সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলমের নেতৃত্বে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল হোসেন ও চক্ষু বিশেষ ডা. শফিউজ্জামান সুমনের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ড নিশ্চিত করে জাহা বক্স অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

জাহা বক্সের স্ত্রী জরিনা খাতুন জানান, ৯ দিন আগে গ্রামের আলীহিম নামের এক কসাইয়ের কাছ থেকে গরুর মাংশ কিনে আনেন আমার স্বামী জাহা বক্স। মাংশ খাওয়ার দু'দিন পর ঠোটে মুখে ছোট ছোট ফোট বের হয়। প্রথমে আমরা আমলে না নিলেও দু'দিন পরে চোখ ফুলে যায়। আমরা মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি আরোও জানান, এমন আরো কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে। তারা আমল দিচ্ছে না এবং চিকিৎসা ও করাচ্ছে না। ওখানে চিকিৎসক টিম পাঠানো প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম জানান, অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক ক্ষতিকর জীবাণু। এ রোগ পশুর মাংশ থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে। তাই আমরা অ্যানথ্রাক্স নিশ্চিত হওয়ার পরপরই স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। যাতে জাহা বক্সের মানিকদিহি গ্রামে জরুরী ভিত্তিতে একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়।

(টিটি/এসপি/নভেম্বর ৩০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test