E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কক্সবাজার সদর থানায় ছাত্রলীগের হামলা : এক সদস্যের তদন্ত কমিটি

২০১৪ জুলাই ১৯ ১৮:৪৭:০৪
কক্সবাজার সদর থানায় ছাত্রলীগের হামলা : এক সদস্যের তদন্ত কমিটি

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার সদর থানায় ছাত্রলীগের হামলা, ভাংচুর ও পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল হোসেন এক কমিটির প্রধান। তিনি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন।

শনিবার দুপুর ১ টা থেকে শুরু হওয়া প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের এক সভা শেষে বিকাল ৫ টায় এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রতিবেদন দাখিলের পর দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করা হবে।

সভায় পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান দাবি করেন শুক্রবার ছাত্রলীগের সাথে সংঘটিত ঘটনায় পুলিশের পক্ষে গুলি বর্ষণের কোন প্রকার অনুমতি প্রদান করা হয়নি। কেন পুলিশের পক্ষে গুলি বর্ষণ করা হল তা খোঁজ বের করা হবে।

পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া জানিয়েছেন, এতে দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সভায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কর্মীকে মোটর সাইকেল সহ আটক করে ব্যাপক নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে তিনি সহ ছাত্রলীগের একদল কর্মী থানায় গেলে পুলিশ তাদেরও ব্যাপক মারধর করে। এর পর তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে প্রতিবাদ করলে পুলিশ বিনা উস্কানীতে গুলি বর্ষণ করে। ছাত্রলীগের পক্ষে সদর থানা, ট্রাফিক পুলিশ ও পুলিশের ব্যারাকে হামলা ভাংচুর করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেকুল্লাহ রফিক, কক্সবাজার রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কলম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সহ জেলা প্রশাসক, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একই সময় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও তিনি সভাস্থলে যাননি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের লালদিঘীর পাড় এলাকায় কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের হিমু নামের একটি কর্মী অবৈধ মোটর সাইকেল সহ আটক করে পুলিশ। এর ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মীরা কক্সবাজার সদর থানা, ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, পুলিশের ব্যারাকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এতে আহত কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, এবি সিদ্দিক খোকন, পুলিশ কনস্টেবল দিলু অং মারমা সহ ৫ জন আহত হন।

(টিটি/জেএ/জুলাই ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test