E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ধামরাই মুক্ত দিবস কাল

২০১৮ ডিসেম্বর ১২ ১৪:৫৪:৪১
ধামরাই মুক্ত দিবস কাল

ধামরাই প্রতিনিধি : আগামীকাল ১৩ ডিসেম্বর ধামরাই মুক্ত দিবস। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাপিয়ে পড়ে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশ ব্যাপী। একাত্তরের মার্চের পর থেকে সারা দেশে পাক বাহিনীর সাথে মুক্তবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছিল। চলছিল দেশের সব খানের মতো ধামরাইয়ে নারী ধর্ষন,হত্যা,অগ্নি সংযোগ,লুটপাট সহ নারকীয় সব ঘটনা সব ঘটাচ্ছিল বর্বর পাক হানাদার বাহিনীর সাথে দেশী রাজাকার দল।

১৯৭১ এর এই দিনে পাকহানাদার বর্বর বাহিনীর উপর ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক ঝাক বোমারু বিমান ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ধামরাই-সাভারের মধ্যবর্তী বংশী নদীর ইসলামপুর-নয়ারহাট এলাকায় তৎকালীন সময়ে সেতু ছিল না,ফেরী ঘাটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একঝাঁক যুদ্ধ বিমান উপযুপরি বোমা ফেলে তচনচ করে দেয় বর্বর বাহিনীর ঘাটি। পাশাপাশি মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার বেনজীর আহমদের নের্তৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা স্থল পথে ব্যাপক আক্রমনের মুখে নিঃসংশ হত্যাকারী পাক বর্বর বাহিনীর সদস্যরা নিহত হয়। বহু আহত হয় ও স্স্থুরা পারিয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধা সোরাব হোসেন জানান ঢাকা আরিচা মহা সড়কের ধামরাই ইসলাম পুর সেতু ছিলনা,ফেরী পারাপার ছিল।,ফেরী ঘাটে ১৩ ডিসেম্বর ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক ঝাঁক যুদ্ধ বিমান উপযুপরি বোমা ফেলে ও পাশাপাশি মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার বেনজীর আহমদের নের্তৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা স্থল পথে ব্যাপক আক্রমনের মুখে নিঃসংশ হত্যাকারী পাক বর্বর বাহিনীর সদস্যরা নিহত হয়। কিছু পাক বর্বর সেনা পালিয়ে যায়।নিহত চার পাক সেনাদের বংশী নদীর পারেই একত্রে দাফন করে ফেলে মুক্তবাহিনীরা।

১৯৭১ এর মুক্তিযদ্ধের সময় রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে ধামরাই থানা ও বর্তমান ধামরাই উপজেলায় প্রথম হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় ৯ এপ্রিল থেকে। বয়সের কারনে মুক্তযদ্ধে অংশ না নিলেও প্রত্যক্ষ দর্শী বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন বলেন ইতিহাসের স্বাক্ষী দেশ খ্যাত ঐতিহ্যবাহী হিন্দুদের পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ রথটিও পুড়িয়ে দেয় বলে জানান।

শেষ যুদ্ধ হয় বাংলার অকেতুভয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ধামরাইয়ের অঞ্চলের যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ঢাকা বিশ আসন ধামরাইয়ের সাবেক এমপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিশ আসন ধামরাইয়ের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ গ্রুপের সাথে ১৩ ডিসেম্বর কুশরায় সম্মূখ যুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এখানে কয়েকজন পাক বাহিনী নিহত হয় । তিন জন মুক্তিবাহিনী মারা যান। মক্তিবাহিনীর অভিযানের চাপে পাক বর্বর বাহিনীরা ঢাকা আরিচা মহা সড়ক দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে
আহত দের নিয়ে বিভিন্ন পথে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

শেষ যুদ্ধে বাংলার অকেতুভয় মুক্তিযোদ্ধারা বর্বর পাকিস্থানীদের হাত থেকে ধামরাইকে শত্রু মুক্ত ঘোষনা করে ১৯৭১এর ১৩ ডিসেম্বর।বিজয় পতাকা উড়িয়ে ধামরাই থানা দখলে নেয়।

(ডিসিপি/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test