E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পটুয়াখালী-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রচারে ভাটা, গ্রেফতার আতংক

২০১৮ ডিসেম্বর ২৫ ১৬:৪৫:০১
পটুয়াখালী-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রচারে ভাটা, গ্রেফতার আতংক

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-মহিপুর-রাঙ্গাবালী) আসনে ঐক্যফ্রন্টে (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ভাটা পড়েছে। মাইকিং ও দু’একটি উঠান বৈঠক ছাড়া চোখে পড়ছে না কোন নির্বাচনী প্রচারাভিযান। গ্রেফতার আতংকে প্রকাশ্যে নেই কোন প্রচারণা। চোখে পড়ছে না অধিকাংশ নির্বাচনী এলাকায় কোন পোষ্টার।

নির্বাচনের মাত্র তিনদিন আগে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারাভিযানে এ গাছাড়া ভাবে উৎফুল্ল আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী। সর্বশেষ গত ২৭ নভেম্বর কলাপাড়া পৌর শহরে বিশাল নির্বাচনী শোডাউন দিয়েছিলো বিএনপি প্রার্থী।

কলাপাড়া ও মহিপুর থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা নাশকতা,পুর্বের মামলা, দু’দলের সংঘর্ষের মামলায় যারা আসামী তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা।

জানা যায়, ২৫ ডিসেম্বর মহিপুর থানা পুরিশ চার মামলার আসামী জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান, এক মামলার আসামী কুয়াকাটা পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জসীম উদ্দিন বাবুলকে আটক করে। একইদিদ দুপুরে কলাপাড়া থানা পুলিশ বালিয়াতলী থেকে আটক করে এক মামলার আসামী মহসীনকে। ২৪ ডিসেম্বর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মহিউদ্দিন সিকদার সোহেল ও মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রাম ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মমিনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।

একইদিন ভোররাতে লালূয়া বানাতি বাজার ও ফিশারি এলাকা থেকে অজ্ঞাত নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গত ১১ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আ’লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর গ্রেফতার এড়াতে রাঙ্গাবালী উপজেলার অধিকাংশ নেতাকর্মী এখন এলাকা ছাড়া। রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থনে পাল্টাপাল্টি সভায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাঙ্গাবালী থানায় এ মামলা হয়।

এ মামলায় বিএনপির ৩২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম লিটু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ফরাজীসহ দলের ৪৭ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে দলের ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মীর আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট । তারা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে আতœগোপনে রয়েছেন। গত ২১ ডিসেম্বর নীলগজ্ঞ ইউনিয়নের মোস্তফাপুরে নৌকা প্রতীকের নিার্বচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নীলগজ্ঞ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নাসির হাওলাদার বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় মামলা একটি দয়ের করেন।

মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরো প্রায় পঞ্চাশ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। আটকৃতরা হল মিলন মৃধা, হাসান আকন, কাদের খান, মোকসেদ হাওলাদার ও মাসুম খান। গত ১৮ডিসেম্বর লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান প্যাদা ও ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি শ্রমিক দলের সভাপতি নাসির মিরাকে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করছে পুলিশ। ১৫ ডিসেম্বর উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের সেক্রেটারি বাদল মাতুব্বর গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, পুলিশ ব্যাপকভাবে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে মাঠ শুন্য করতে চায়। যাতে আ’লীগ সমর্থঔরা কেন্দ্র দখল করে নৌকা পক্ষে সিল পিটাতে পারে। উল্লেখিত বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থাা নেয়া হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামী। এ খানে রাজনৈতিক পরিচয় জেনে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

(এমকেআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test