E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নৌকার মিছিলে মিছিলে কেন্দুয়ায় নেমেছিল জনতার ঢল

২০১৮ ডিসেম্বর ২৭ ০০:২৪:২৬
নৌকার মিছিলে মিছিলে কেন্দুয়ায় নেমেছিল জনতার ঢল

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা, উন্নয়নের প্রতীক নৌকার মিছিলে মিছিলে কেন্দুয়া উপজেলা সদরে নেমেছিল জনতার ঢল। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার বেলা ২টায় জয়হরি স্প্রাই সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজন করা হয় বিশাল নির্বাচনী জনসভার।

উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ বিশাল জনসভায় যোগ দিতে ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দুপুর ১২টা থেকেই নৌকা প্রতীক ও বিভিন্ন ব্যানার পেষ্টোন নিয়ে নৌকার স্লোগান দিতে দিতে খেলার মাঠে গিয়ে জড়ো হয়। চর্তুদিক থেকে মিছিলের পর মিছিল আসায়, মিছিলের নগরীতে পরিনত হয় কেন্দুয়া। বেলা ২টার দিকে খেলার মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়।

এসময় এসে মঞ্চে ওঠেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও নব্বইর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনের অন্যতম ছাত্র নেতা ও নেত্রকোনা-৩ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী অসীম কুমার উকিল। তিনি মঞ্চে ওঠে সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, অসীম উকিলের আগমন শুভেচ্ছার স্বাগতম, প্রতীক আছে, কোনসে প্রতীক, নৌকা নৌকা স্লোগান ও মুর্হু মুর্হু করতালি দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক এ জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অসীম কুমার উকিল বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি নৌকা মার্কায় একটি ভোট চাইতে। আপনার একটি ভোট আমাদেরকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। আপনার একটি ভোট আমাকে চির ঋণী করবে। আপনার একটি ভোট শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাবে। আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছে দিন দেখবেন, কেউ আপনাদেরকে খালি হাতে ফেরত দেবেনা। সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। কারণ শেখ হাসিনা একজন রত্নগর্ভা মা ও কর্মঠ প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে সারা বিশ্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এখন আর অভাব বলতে কিছু নেই, নেই মঙ্গা, চৈত্র এবং কার্তিক মাস বলতে কোন মাস এখন আর বুঝা যায়না। প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করে চলছেন সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনারা সকলেই নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, সুখে দুখে আপনাদের পাশেই থাকব। সারা জীবন আপনাদের সেবক হয়ে কাজ করব।

সমাবেশে সাবেক এম.পি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী বলেন, অসীম উকিল একজন যোগ্য নেতা, তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরাও খুশি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়েই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে চাই। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের চেয়ে এবার আরো অনেক বেশি ভোটে নৌকা জিতবে বলে আসা করছি। বাংলাদেশ যুব মহিলালীগের সাধারন সম্পাদক, সাবেক এম.পি অধ্যাপক অপু উকিল বলেন, যারা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আমি আপনাদের এলাকার বধু হিসেবে নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে চাই অসীম উকিল একজন সৎ আদর্শীক নেতা। তিনি আপনাদের ভোটে এম.পি নির্বাচিত হলে কেন্দুয়া আটপাড়া উপজেলাকে এমন ভাবেই মডেল উপজেলা হিসেবে গড়বেন, যাতে সারা দেশের এম.পি গণ এ মডেল দেখে অনুকরণ করে।

আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিক বলেন, আমরা ২৪ জন মনোনয়ন চেয়েছিলাম। অসীম কুমার উকিল ছাড়া আমরা ২৩ জনই ছোট ছোট নদী এসে সাগরে মিলেছি। মানিক বলেন, অসীম উকিল একটি সাগর, একটি আদর্শ। তাকে পেয়ে আমরা সবাই সব কষ্ট ভুলে গেছি। আওয়ামীলীগ নেতা নাগিবুল ইসলাম দীপু বলেন, রাজনীতির লড়াই সংগ্রামের সাহসী পুরুষ অসীম। জীবনের অনেক ত্যাগের ফলে আজ এখানে এসেছেন, নৌকা মার্কা নিয়ে। তিনি এম.পি হলেই আশা করি মন্ত্রী হবেন, কারণ স্বাধীনতার পরবর্র্তী সময়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে একমাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়া আওয়ামীলীগের এতবড় জাতীয় নেতা আর মনোনয়ন পাননি।

আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট আব্দুল মতিন বলেন, রাজনীতির ইতিহাস গড়েছেন অসীম উকিল। তিনি জীবন বাজি রেখে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ইতিহাস হয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আরেকবার নতুন ইতিহাস গড়বেন।

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নূর খান মিঠু বলেন, অসীম উকিল ও অপু উকিল সারা বাংলাদেশে সফল রাজনৈতিক জুটি। তারাই নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের রাজনীতির অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন। ঘটাবেন এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। প্রত্যাশার চেয়ে উন্নয়ন করবেন অনেক বেশি। কিন্তু এখন আমাদের সবার দায়িত্ব ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অনেক বেশি ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করে মহান সংসদে পাঠাতে হবে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূঞার পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার, পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূঞা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা রোজি, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সালমা আক্তার, জেলা পরিষদের সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান সেলিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর চৌধুরী প্রমুখ।

জনসমাবেশে আগত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নেচে গেয়ে নৌকার মিছিলে মিছিলে মাতিয়ে তোলে কেন্দুয়া উপজেলা সদরকে।

(এসবি/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test