E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হালুয়াঘাটে টাকা ছাড়া বিনামূল্যের বই পাচ্ছে না শিশুরা! 

২০১৯ জানুয়ারি ০৫ ১৪:৪০:৫১
হালুয়াঘাটে টাকা ছাড়া বিনামূল্যের বই পাচ্ছে না শিশুরা! 

জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চকমোকামিয়া শহীদ খাজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা টাকা ছাড়া পাচ্ছে না সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিনামূল্যের বই। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন পরিবহন খরচসহ আনুসাঙ্গিক খরচ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের নিকট থেকে নগদ ২০ টাকা করে জন প্রতি আদায় করে বই বিতরণের অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশুসহ অভিবাকগণ। 

পাশাপাশি অভিবাবকগণ উপবৃত্তি ও স্লিপ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেছেন এই প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে। জনপ্রতি বিশ টাকা ছাড়া কোন শিক্ষার্থীকে বই প্রদান করছেন না প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন। যে সমস্ত শিশুরা টাকা দিতে পারেন নি তাদেরকে এখনো বই প্রদান করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয় ফাঁকি দিচ্ছেন। শিশুরা জানায় মাসে ৫ থেকে ১০ দিন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির হাজিরা খাতায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ২৯৫ জন শিশু শিক্ষাথী থাকলেও অধিকাংশই অনুপস্থিত। ৬০ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী নতুন বই পেলেও অধিকাংশই এখনো বই পাচ্ছেন না টাকা না দেওয়ার কারণে। বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান চালাচ্ছেন দুইজন সহকারী শিক্ষক। অনুপস্থিত রয়েছে প্রধান শিক্ষক।

আলাল উদ্দিনসহ স্থানীয়রা বলেন, কোমলমতি শিশুদের নিকট থেকে বই বাবদ নগদ ২০ টাকা, উপবৃত্তি ও স্লিপ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই শিক্ষক। তারা শিক্ষক মফিজ উদ্দিন এর ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে চকমোকামিয়া শহীদ খাজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন বলেন, তিনি টাকা আদায় করছেন না। সভাপতি ওয়াহেদ আলী শিশুদের নিকট থেকে পাঁচ দশ টাকা করে আদায় করছেন। স্লিপ প্রকল্পের ও উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেননি বলে জানান।

কোমলমতি শিশুদের নিকট থেকে নগদ টাকা আদায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওয়াহেদ আলী বলেন, প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করেই টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, তিনি গটনাটি অবগত নন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্য প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(জেসিজি/এসপি/জানুয়ারি ০৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test