E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

হালুয়াঘাটে টাকার বিনিময়ে বই বিতরণ করা সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

২০১৯ জানুয়ারি ০৬ ১৭:২১:৫৬
হালুয়াঘাটে টাকার বিনিময়ে বই বিতরণ করা সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চকমোকামিয়া শহীদ খাজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা টাকা ছাড়া পাচ্ছে না সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিনামূল্যের বই। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন পরিবহন খরচসহ আনুসাঙ্গিক খরচ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের নিকট থেকে নগদ ২০ টাকা করে জন প্রতি আদায় করেছেন। 

এ বিষয়ে শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ”হালুয়াঘাটে কোমলমতি শিশুরা টাকা ছাড়া পাচ্ছে না বিনামূল্যের বই” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে নেমেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন মোহাম্মদ ফারুক। বই বিতরণে নগদ টাকা আদায়ের বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলেছেন। সভাপতি শিশুদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন। প্রাথমিক ভাবে তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। শিঘ্রই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন মোহাম্মদ ফারুক জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বই বিতরণে নগদ টাকা আদায়ের বিষয়টি জানতে পেরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিক্ষক মফিজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ঘটনাটি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলে জানান।

স্থানীয় অভিবাকগণ অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক মফিজ উদ্দিন বই বিতরণে নগদ টাকাসহ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও স্লিপ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জনপ্রতি বিশ টাকা ছাড়া কোন শিক্ষার্থীকে বই প্রদান করছেন না। যে সমস্ত শিশুরা টাকা দিতে পারেননি তাদেরকে এখনো বই প্রদান করা হয়নি তিনি নিয়মিত বিদ্যালয় ফাঁকি দিচ্ছেন। তদন্ত পূর্বক শিক্ষক মফিজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির হাজিরা খাতায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ২৯৫ জন শিশু শিক্ষাথী থাকলেও অধিকাংশই অনুপস্থিত। ৬০ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী নতুন বই পেলেও অধিকাংশ শিশু এখনো বই পাচ্ছেন না, টাকা না দেওয়ার কারণে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তকে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিক্ষক মফিজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

(জেসিজি/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test