E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রী হেনস্তা : মিমাংসার দুই লাখ টাকা লোপাট

২০১৯ জানুয়ারি ১০ ১৬:০৫:৪১
ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রী হেনস্তা : মিমাংসার দুই লাখ টাকা লোপাট

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল  (ভেটেকুল) ইসলামের বিরুদ্ধে।

সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদে দুই লাখ টাকা বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান সোহাগের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২ ডিসেম্বর দুপুরে মোহাম্মদপুর বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটির পরে ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নেয় প্রধান শিক্ষক । এ সময় ছাত্রীকে হেনস্তা করে ওই প্রধান শিক্ষক। ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে পরে ধীরে ধীরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি অবগত হলে ছাত্রীর পরিবার ও প্রধান শিক্ষককে চাপ সৃষ্টি করে মিমাংসার জন্য।

সোমবার রাতে মিমাংসার জন্য এলাকার কিছু মানুষের উপস্থিতে ইউপি পরিষদে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার দুই লাখ টাকা মেয়ের বাবাকে দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আর বাকি টাকা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় দালাল চক্র লোপাট করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন।

মেয়েটির বাবা বলেন, প্রথমে বাড়িতে কয়েকজন সাংবাদিক আসে পরে চেয়ারম্যান পরিষদে ডাকে দুই লাখ টাকায় মিমাংসা করে দেয়। ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে আর ২০ হাজার টাকা দিতে চাইছে। গরীব মানুষ অন্যের বাড়িতে কাজ করে খায়। আর বিশেষ কিছু বলতে পারবো না। চেয়ারম্যানের বিপক্ষে কেমনে যাবো?

এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাংবাদিকের নাম শুনলে এলাকার কেউ মুখ খুলছে না।

পরিষদে মিমাংসার সময় উপস্থিত নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমি গরীব মানুষ কোন সমস্যায় যেতে চাই না। গতকাল পরিষদে শিশু নির্যাতনের মিমাংসায় উপস্থিত ছিলাম চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তে সেই শিক্ষকের কাছে দুই লাখ টাকা ও আপস নামায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে স্বাক্ষী হিসেবে আমিও স্বাক্ষর করেছি। সব টাকা মেয়ের বাবা পায়নি। চেয়ারম্যান সাহেব ও তার লোকজন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী এক স্বজন বলেন, স্কুলে একটু সমস্যা হয়েছিল চেয়ারম্যান পরিষদে সমাধান করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আর কিছু বলতে চাই না।

ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় ভুল বুঝাবুঝির একটি ঘটনা ঘটেছিল যা দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করা সমাধান করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে মিমাংসা হয়েছে জানতে তিনি এড়িয়ে যান।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল মুঠো ফোনে জানান, ঘটনাটি পূর্ব শক্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান জোর পূর্বক মিমাংসা করে ২ লাখ টাকা নিয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, শিশু হেনস্তার বিষয়ে অবগত নই। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করা হবে।

(এফআইআর/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test