E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার

২০১৯ জানুয়ারি ১০ ১৭:৫১:৫৪
দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় শ্রীরামপুর-মুরাদিয়া ইউনিয়নের মধ্যেবর্তি নদীর ওপর বাঁশের সাকোঁতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন দু’পাড়ের বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসার ছোট ছোট শিশু কিশোর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সাকোঁ পারাপারের ঝুঁকিতে চিন্তিত অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ।

উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা ও ২৭নং পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মুরাদিয়া নদীর ওপর দিয়ে বাঁশের সাকোঁটি নির্মাণ করে দু’পারের মানুষ পারাপার হয়ে আসছে। মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশীর ভাগ ছাত্র-ছাত্রী পশ্চিম পাড়ের হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিত্য পারাপারের জন্য স্থানীয়রা সাকোঁটি নির্মাণ করেন। নদীতে চলাচলকারী নৌ-যাতের স্বাভাবিক যাতায়ত নির্বঘ্ন করতে বেশ উচুঁ করে সাকোঁটি নির্মাণ করতে হয়েছে। যা ছোট ছোট শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ নারী পুরুষের ঝুঁকিতে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পারাপার হতে হয়। একটু অসতর্কতায় পা ফসকে পড়ে গেলেই মহা বিপদের সন্মুখীন হতে হয়। এমন মারাত্মক ঝুঁকি সত্ত্বেও প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীকে নিয়মিত সাকোঁটি পারাপার হতে হয়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পথচারি সাঁকো পারাপারকালে পা ফসকে পড়ে গিয়ে কম-বেশী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

২৭ নং পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার জানান, সাঁকোর অপর পাড়ে রয়েছে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শতাধিক শিক্ষার্থী। এখানে ব্রিজ হলে শিক্ষার্থী সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেত, তেমনি টিফিনের সময় বাড়ি থেকে সহজে খেয়ে আসতে পারতো। অনেক শিশু ছাত্র বড়দের হাত ধরে পার হওয়ার আশায় সাঁকোর কাছে দাঁড়িয়ে থাকে।

শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মো. ছত্তার মোল্লাসহ অনেকে ক্ষোভের সঙ্গে জানান, জন প্রতিনিধিরা আমাদের বার বার ব্রিজের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি। এলাকাবাসীর দাবি, সাঁকোর স্থলে একটি মজবুত পুল তৈরী করা হোক। তা হলে তাদের শংকামুক্ত হবে শিশু-কিাশোর শিক্ষার্থী সন্তানের পারাপার। এজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে আয়রণ ব্রিজের জন্য প্রধান প্রকৌশল অধিদপ্তরে কথা বলবো যাতে করে এখানে একটি ব্রিজের ব্যবস্থা করা যায়।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test