E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মির্জাগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

২০১৯ জানুয়ারি ২০ ১৮:০২:০৬
মির্জাগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হয়রানির শিকার ঐ ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়াসহ শিক্ষককে দিয়ে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করানোর অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা। 

ছাত্রীর পিতা ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দেউলী পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (ইংরেজী) মোঃ আবদুস ছালাম হাওলাদার দীর্ঘদিন যাবত ঐ স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তিনি শ্রেনী কক্ষে বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্রীদেরকে যৌনহয়রানি করে আসছেন। গত মঙ্গলবার ক্লাশ চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর শরীরে হাত দেয়, পরে ছাত্রী তার অভিভাবককে নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগপত্র দেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পরের দিন ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবীতে ক্লাশ বর্জন করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে দিয়ে নিয়মিত ক্লাশ করানো হচ্ছে এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য তার পক্ষে কাজ করছেন এমন অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক। তিনি এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রায়ই ছাত্রীদের সাথে এরকম অশালীন আচরন করেন এর কোন সুষ্ঠু বিচার না হলে তিনি ঐ স্কুলে অধ্যায়নরত তার দুই কন্যাকে অন্যত্র ভর্তি করাবেন বলেও হয়রানির শিকার ঐ ছাত্রীর বাবা সাংবাদিকদের জানান। এছাড়াও চার বছর পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুস সালাম হাওলাদারকে উপজেলার বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন সময়ে একই অভিযোগে অব্যাহতি দেয়া হয়বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুস সালাম হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, একটি কুচক্রীমহল আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে দেউলী পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আফজাল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি,তবে ক্লাশে পাঠদানের সময়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

(ইউজি/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test