E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন : আ.লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ৭, জাপার ২

২০১৯ জানুয়ারি ২২ ২২:৫০:১৮
সুন্দরগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন : আ.লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ৭, জাপার ২

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়-ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা সবার চোখ পড়ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী ছিল না।

এ আসন থেকে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টি মনোনীত মহাজোট প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণায় তাই উজ্জীবিত হয়ে উঠেন আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাদের কেউ-কেউ ইতিমধ্যে মাঠে নেমে নির্বাচনী প্রচারণায় গণসংযোগে লেগে গেছেন। আবার কেউ কেউ দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন দলের জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমর্থন আদায়ের। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের এক ঝাঁক প্রার্থী এবার এ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তাদের মধ্যে অন্যতম উপজেলা কমিটির আহবায়ক টিআইম এম মকবুল হোসেন প্রামানিক। প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে তিনি দলে এবং বাইরে যথেষ্ট প্রভাব রাখেন।

এ উপজেলার দুই সাবেক সংসদ সদস্যের মধ্যে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আততায়ীর হাতে এবং গোলাম মোস্তফা আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এক বছরের ব্যবধানে পর পর দুই সংসদ সদস্য প্রয়াণের পর জেলা কমিটির সদস্য মকবুল হোসেনই দলের হাল ধরেন। তাকে আহবায়ক করে দলের উপজেলা কমিটি পুর্নগঠন করা হয়। এই কমিটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উপজেলা আহবায়ক মকবুল হোসেন ছাড়াও আরো যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী তারা হচ্ছেন- যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদের ছেলে ও চন্ডিপুর তহুরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মেহেদী মোস্তফা মাসুম, যুগ্ম আহবায়ক ও শান্তিরাম ভোকেশনাল কারিগরি স্কুলের শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম লেবু, যুগ্ম আহবায়ক ও গোপালচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল আলম রেজা, উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদার, উপজেলা কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খয়বর হোসেন সরকার মওলা, উপজেলা কমিটির সদস্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আ’লীগ নেতা সৈয়দ আবুল হোসেন খাজার ছেলে প্রকৌশলী সৈয়দ মশিউর রব্বানী আপেল।

আওয়ামী লীগের এই সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ে থাকলেও অন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো নীরব। কিছুটা জানান দিয়েছে জাতীয় পার্টির দুই প্রভাবশালী নেতা। তারা হচ্ছেন- দলের উপজেলা জাপার সহ-সভাপতি ও বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধন শিক্ষক আহসান হাবিব খোকন এবং অপর জন দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোনারায় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনসার আলী সরদার।

বিগত নির্বাচনে এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান সরকার। তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ঘাটি হিসেবে এক সময় পরিচিত হলেও এখন তারা অনেকটাই কোনঠাসা। এদিকে বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দেয়ায় তাদের কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে না বাম গণতান্ত্রিক জোটের কোনো প্রার্থীর নামও।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম রেজা জানান, সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছিল না আমাদের। তাই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি আমরা হারাতে চাই না। দলীয় হাইকমান্ড যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে আমরা সবাই একযোগে কাজ করে তাকে নির্বাচিত করবো।

(এসআইআর/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test