E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুযোগ পেলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশের সেবা করতে চাই : দিপালী চক্রবর্তী

২০১৯ জানুয়ারি ২৬ ২৩:৪০:৪৮
সুযোগ পেলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশের সেবা করতে চাই : দিপালী চক্রবর্তী

তপু ঘোষাল, স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিপালী চক্রবর্তী। আর সেই লক্ষ্যে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন কিনেছেন তিনি। 

অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বাস্তবায়ন এবং সংখ্যালঘুদের এগিয়ে নিতে দিপালীকে একজন পরিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী মনে করছেন ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ।

দিপালীকে নিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘দিপালীর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তারা সবাই আগাগোড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের জন্য তাদের অনেক অবদান রয়েছে। তা ছাড়া দিপালী নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পরিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী। এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গনেও তার ভালো পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। তাছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে তাকে। তাই সবকিছু মিলিয়ে তার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ’

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আ.লীগ মহাজোট। এরপর ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২দিন সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোয়ন ফর্ম বিক্রি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সংরক্ষিত ৫০ টি আসনের জন্য এবার মনোনয়ন ফর্ম কিনেছেন ১ হাজার ৫১০ প্রার্থী। সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের রয়েছে ৪৩ টি, জাতীয় পার্টির ৪টি ও জোটের অন্যান্য দলগুলোর জন্য ৩টি আসন। শনিবার ও রোববার মনোনয়ন ফর্ম জমা নিয়ে শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া।

রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠা দিপালী চক্রবর্তীর বাবা অজিত কুমার চক্রবর্তী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। প্রচার বিমুখ দিপালীর পারিবারিক পরিচয়ের বাইরেও রয়েছে বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ছাত্র জীবনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে হাতে খড়ি নেন দিপালী। ১৯৯১ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুঃসময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯৫ সালে কুয়েত মৈত্রী হলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক এবং ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনের বাইরেও দিপালী কাজ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে।

বর্তমানে তিনি মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও হিন্দু নারীদের বাবার এবং স্বামীর সম্পত্তির উপর অংশীদারিত্ব পাওয়ার অধিকার আদায়ে লড়ছেন এই নেত্রী।

নিজের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে দিপালী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু হয়। দুর্বৃত্তরা ওই সময় আমাদের ওপর আক্রমণ করায় প্রান বাঁচাতে আমরা স্বপরিবারে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এরপর ১৯৮২ সালে আবার দেশে ফিরে আসি। তখন থেকেই নির্যাতিত ও পিছিয়ে সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা ইচ্ছে ছিলো। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদান করি। কিন্তু তখন ছাত্রলীগের অবস্থা শোচনীয় ছিলো। ১৯৯১ সালে বিএনপি-জামায়াতের ভয়ে কেউ দল করতে সাহস পেত না। তখন রাজপথে থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে হলের নেতৃত্ব দিয়েছি। বর্তমানেও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে চেতনার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।

দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দিপালী বলেন, কোনও কিছু পাওয়ার জন্য কখনো দল করিনি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে মনের মধ্যে লালন করি। গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রাজনীতিকে সমর্থন করি। সুযোগ পেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওই আদর্শকে ধারণ করে দেশের সেবা করতে চাই। যদি ত্যাগী নেত্রীদের মূল্যায়ন করা হয় তাহলে আমিও আশাবাদী। তবে আমাদের নেত্রীর সিদ্ধান্তকেই আমি স্বাগতম জানাবো। কারণ তিনি যা করবেন দেশের ভালোর জন্যই করবেন।’

(টি/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test